মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণে কুপোকাত পুরো বিশ্ব। করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বেড়েই চলেছে। করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু তো কমেনি, বরং বিশ্ব নতুন ও বিপজ্জনক ধাপে প্রবেশ করছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির খবরে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএউচও প্রধান এ কথা বলেন। ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস বলেন, ‘বৃহস্পতিবার একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্তের রেকর্ড হয়েছে, যা গত ডিসেম্বরে মহামারি শুরুর পর থেকে সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নতুন সংক্রমণ ঘটেছে দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে।’
শরণার্থীদের ওপর করোনার প্রভাব বেশি পড়তে পারে মন্তব্য করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ‘এ পরিস্থিতিতে শরণার্থীদের ওপর বেশি প্রভাব পড়বে। তারা বেশির ভাগই উন্নয়নশীল দেশগুলোয় বাস করছেন। করোনা শনাক্ত, প্রতিরোধ ও সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।’
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, করোনাভাইরাসে সারা বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছে ৮৬ লাখ ৪১ হাজার ১২০ জন। আর এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪৬৮ জন।
এদিকে সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার শনাক্ত হওয়া রোগীদের অর্ধেকের বেশি যুক্তরাষ্ট্রের। এরপর উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় দক্ষিণ এশিয়ার রোগী শনাক্ত হয়েছেন। গেব্রেয়াসুস বলেন, ভাইরাস এখন দ্রুত ছড়াচ্ছে, এটা এখনো মারাত্মক এবং অধিকাংশ মানুষ এখনো সংক্রমণ সংবেদনশীল। অনেক লোক বাড়িতে থাকার কারণে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, যা সহজে বোধগম্য এবং অনেক দেশ লকডাউন তুলে দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করছে। তবে যেহেতু এটি এখনো দ্রুত ছড়াচ্ছে, তাই সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরা ও হাত ধোয়ার মতো বিষয়গুলো এখনো গুরুত্বপূর্ণ।
গেব্রেয়াসুস বলেন, ‘এ পরিস্থিতিতে শরণার্থীদের ওপর বেশি প্রভাব পড়বে। তাঁরা বেশির ভাগই উন্নয়নশীল দেশগুলোয় বাস করছেন। আমাদের কোভিড–১৯ শনাক্ত, প্রতিরোধ ও সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।’
আরও পড়ুনঃ দুর্নীতির অভিযোগে জিম্বাবুয়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেফতার
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় দৈনিক সংক্রমণের হার সমানতালে এগিয়ে চলা সত্ত্বেও করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আর বিস্তৃত লকডাউন প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির শীর্ষ সরকারি বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউসি। বার্তা সংস্থা এএফপিকে ফাউসি বলেন, তিনি আশাবাদী যে শিগগিরই বিশ্ব একটি ভ্যাকসিন পাবে, যা মহামারির অবসান ঘটাবে। ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পরীক্ষার ফলাফল উৎসাহব্যঞ্জক।
আরও দেখুনঃ করোনাজয়ী দুইজন ওমান প্রবাসীর সাক্ষাৎকার
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post