দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
বিশেষত, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ট্রাম্পের আগের কঠোর মনোভাব এবং চুক্তি থেকে সরে আসার ইতিহাস এ সম্ভাবনাকে আরও জোরালো করেছে।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তির আওতায় ইরান তাদের পরমাণু সক্ষমতা সীমিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, যার বিনিময়ে তাদের ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়।
কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৮ সালে ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইরান তাদের ইউরেনিয়াম মজুতের পরিমাণ বাড়িয়েছে। যদিও ইরান দাবি করেছে, তাদের কর্মসূচি কেবল শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে এবং তারা এখনও পরমাণু অস্ত্র তৈরি করেনি।
বর্তমানে ইরান ইউরোপের তিন শক্তিশালী দেশ—ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং জার্মানির সঙ্গে তাদের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিতব্য এই আলোচনা আনুষ্ঠানিক নয়, বরং শলা-পরামর্শমূলক। তবুও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প প্রশাসন যদি ইরানের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করে, তাহলে ইউরোপীয় দেশগুলোও তাদের অবস্থান কঠোর করতে পারে।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগের পাশাপাশি তেহরান সম্প্রতি ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়েছে, যা পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে ইরানকে ঘিরে সন্দেহ আরও বাড়িয়েছে।
এর ফলে, যদি ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেন, তাহলে উপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হয়ে উঠতে পারে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইরান যদি পরমাণু অস্ত্র তৈরি করে, তবে তা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক ভারসাম্যে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করবে। এ পরিস্থিতি কেবল ইরানের ওপরই নয়, বরং বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপরও প্রভাব ফেলবে।
এমন এক সংকটময় পরিস্থিতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিমালা ও আন্তর্জাতিক কূটনীতি কী মোড় নেয়, তা বিশ্বজুড়ে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post