বিমানবন্দরে মারপিটের শিকার সাঈদ উদ্দিনসহ হেনস্থার শিকার নরওয়ে প্রবাসী পরিবারকে সঠিক বিচারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) আলোচিত এ ঘটনার তদন্তের জন্য গঠিত কমিটির সদস্যরা ফেনীর সোনাগাজি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন। তদন্ত কমিটির সদস্যদের কথা ও বিচারের আশ্বাসে সন্তোষ প্রকাশও করেছেন সাঈদ উদ্দিনের পরিবার।
সাঈদের বাবা গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে কথা হয় বাংলা ট্রিবিউনের। তিনি বলেন, বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যেই আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হই। তারা আমাদের কাছ থেকে পুরো ঘটনা শোনেন। এরপর তারাও আমাদের নানা প্রশ্ন করেন। আমরা সেগুলোর উত্তর দিয়েছি।
তিনি বলেন, আমিসহ আমার দুই ছেলে সাঈদ উদ্দিন ও মহিউদ্দিনও উপস্থিত ছিল। আমার ছেলেদের সঙ্গেও তারা কথা বলেন।
গিয়াস উদ্দিন বলেন, দুই দিনের টানা জার্নি নিয়ে আমরা ঢাকা বিমানবন্দরে নামি। ইমিগ্রেশন শেষ করে বের হওয়ার পর ক্যানোপিতে এসে যখন ছেলেকে না দেখে, আমি ওই গেটে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু পেছন থেকে ওই নিরাপত্তাকর্মী আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। এ কারণে মূলত ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। আমার ছেলে আসার পর যখন দেখে আমাকে ধাক্কা দেওয়া হচ্ছে, তখন সে রাগ সামলাতে পারেনি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সবাই মিলে আমার সামনেই আমার ছেলেকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করলো।
তিনি বলেন, তদন্ত কর্মকর্তাদের বলেছি, আপনারা সঠিক বিচার না করলে আমি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে কাছে বিচার দেবো। এর জন্য অ্যাডভোকেটের সঙ্গেও কথা বলে রেখেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত কর্মকর্তাদের কথা শুনে আমার কাছে ভালো লেগেছে। আমি তাদের ওপর আস্থা রাখতে চায়। তারা আমাকে সঠিক বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। এখন দেখা যাক তারা কতদিনের মধ্যে এটি নিষ্পত্তি করেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে নরওয়ে প্রবাসী গিয়াস উদ্দিন তার ছেলে সাঈদ উদ্দিনসহ পরিবারের ৫ জন সদস্য ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। সাঈদ উদ্দিন বিমানবন্দরের ২ নম্বর ক্যানোপি গেট দিয়ে বেরিয়ে আসেন। গেটের ডানপাশে দাঁড়ানো অবস্থায় এক নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় যাত্রী উত্তেজিত হয়ে ওঠে তাকে ধাক্কা দেন। এর পরপরই অন্য নিরাপত্তাকর্মী ও আনসার সদস্যরা সাঈদকে জোর করে ভেতরে কনকর্স হলের দিকে নিয়ে যায়। এ সময় ৭/৮ জন মিলে তাকে মারপিট করে। এতে করে সাঈদের মাথা চোখ মুখ ফেটে রক্তাক্ত হয়ে যায়। পরে তারাই আবার সাঈদকে বের করে দেয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে নিরাপত্তাকর্মীর সদস্যরা তাকেসহ তার আত্মীয়স্বজন সবাইকে নিয়ে আবারও ভেতরে চলে যায়। পরে গভীর রাতে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post