রাজধানী স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান। মূলত জনসংখ্যার পাশাপাশি পানি-বিদ্যুতের সংকটও বাড়ছে বর্তমান রাজধানী তেহরানে। আর এমন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য়ই রাজধানী বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে খামেনির দেশ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম তেহরান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের নতুন রাজধানী হবে উপকূলীয় মাক্রান অঞ্চলে। সমুদ্র বন্দরভিত্তিক রাজধানী হলে দেশটি কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সুফল পাবে।
ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি বলেছেন, মাক্রানে অবশ্যই আমাদের নতুন রাজধানী হবে। এতে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ ঘটবে। এরই মধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি। এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ, অভিজাত, বিশেষজ্ঞ, প্রকৌশলী, সমাজবিজ্ঞানী ও অর্থনীতিবিদদের সহযোগিতা চেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের রাজধানী স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নতুন নয়। তিন দশক ধরে এই আলোচনা চলে আসছে। তেহরান প্রদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেড়েছে। প্রদেশটি প্রায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। এখানে পানিরও তীব্র সংকট। এসব কারণেই আমরা রাজধানী স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ সিদ্ধান্তের পক্ষে প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের যুক্তি দিয়েছেন যে, ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে তেহরান। আয়-ব্যয়েও নেই ভারসাম্য। এমন পরিস্থিতিতে পারস্য উপসাগরের কাছাকাছির কোনো শহরকে রাজধানী করা হলে দেশ সার্বিকভাবে লাভবান হবে।
এদিকে, ইরান সরকারের এই সিদ্ধান্ত সমালোচিত হয়েছে। অনেকে এটিকে অবাস্তব বলছেন। সমালোচকরা বলছেন, নতুন রাজধানী হলে অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে বিপুল পরিমাণ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post