আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছয়জনের মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে কিশোরগঞ্জ থেকে এসআই মালেক এবং নবাবগঞ্জ থেকে কনস্টেবল মুকুলকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর আগে, গত মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আশুলিয়ার ওই নৃশংস ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম এবং চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ প্রসিকিউশনের আবেদনের ভিত্তিতে এ আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনাল ২৬ জানুয়ারি এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে। প্রসিকিউটর পক্ষে শুনানি পরিচালনা করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম, বিএম সুলতান মাহমুদ, এস এম মইনুল করিম এবং শাইখ মাহদী।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ৬ শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে পরিকল্পিতভাবে তাদের মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়। তদন্তে সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হয়। তবে চার অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
এ ঘটনায় তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া ঘিরে সারাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আইন ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post