রাশিয়া বর্তমানে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত থাকার পাশাপাশি পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে একটি কৌশলগত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এই দ্বিমুখী চাপে রাশিয়া নতুন কৌশল গ্রহণ করেছে, যার একটি হলো হাইব্রিড হামলা। জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস সম্প্রতি রাশিয়ার সম্ভাব্য এই হাইব্রিড হামলার বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছেন।
পিস্টোরিয়াস জানিয়েছেন, আসন্ন নির্বাচনের প্রাক্কালে রাশিয়া জার্মানির বিরুদ্ধে সাইবার হামলা চালাতে পারে। এই হামলা হতে পারে তথ্যপ্রযুক্তি, নেটওয়ার্ক এবং বিভিন্ন ডিভাইসের ওপর। তাই প্রশাসন ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কীভাবে জার্মানিকে দুর্বল করতে পারে, তা নিয়ে বিশেষভাবে সতর্ক করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি উল্লেখ করেন, জার্মানির অবকাঠামো এবং জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থায় অতীতের ঘটনাগুলো—যেমন নর্থ সি এবং বাল্টিক সি’র ঘটনাগুলোতে রাশিয়ার সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মতে, পুতিন আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ন্যাটোর একতা পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় সামরিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করতে পারেন। যদিও তাৎক্ষণিক কোনো সামরিক হুমকি নেই, তবুও পুতিনের ২০৩০ সালের মধ্যে নতুন অস্ত্রের মজুদ গড়ার পরিকল্পনা ইউরোপের জন্য একটি বড় শঙ্কার বিষয়।
পিস্টোরিয়াস জানান, রাশিয়া যে পরিমাণ অস্ত্র এবং গোলাবারুদ প্রতিমাসে তৈরি করছে, তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব দেশ মিলেও এক বছরে উৎপাদন করতে পারে না। এই তথ্য ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য নতুন এক সতর্ক বার্তা দেয়।
জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বার্লিন এবং ন্যাটো মিত্রদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ ভবিষ্যতে রাশিয়ার এই হাইব্রিড কৌশল গোটা ইউরোপের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post