ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়ে মিশরের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী। ওমানের সুলতান হাইসাম বিন তারেক আলে সাঈদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
গত ২৯ ও ৩০ মে ইরান সফর করেছেন ওমানের সুলতান হাইসাম। এর আগে গত সপ্তাহে তিনি মিশরে যান এবং সেদেশের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। মিশরের পরপরই ইরানে আসার কর্মসূচির খবর থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল, ওমানের সুলতান সম্ভবত তেহরান-কায়রো সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়ে মধ্যস্থতা করছেন। ওমান দীর্ঘ দিন ধরেই এই অঞ্চলে সফল মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করে আসছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ইতিবাচক বক্তব্য থেকে এটা ধারণা করা হচ্ছে যে, খুব শিগগিরই তেহরান ও কায়রোর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হবে। এমন সম্ভাবনার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দৈনিক ‘ন্যাশনাল’ পত্রিকায় প্রকাশিত সাক্ষাতকার থেকেও। ঐ পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে মিশরের দুই জন কর্মকর্তা বলেছেন, ওমানের সুলতান ও মিশরের প্রেসিডেন্টের মধ্যে সম্প্রতি যে বৈঠক হয়েছে সেখানে তেহরান-কায়রো সম্পর্কের বিষয়টিই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। এ কারণে তারা ধারণা করছেন আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই মিশর ও ইরান রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেবে।
পশ্চিম এশিয়ায় এখন পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তনের প্রভাবে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। সৌদি-ইরান সম্পর্ককে মুসলিম বিশ্বের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন পর্যবেক্ষকরা। এরই ধারাবাহিকতায় ইরান ও মিশরের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হলে তা এই অঞ্চলে বিদেশি হস্তক্ষেপের মোকাবেলায় তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post