চট্টগ্রামের পটিয়ায় এক দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল এক প্রবাসীর বাড়িতে প্রবেশ করে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও একটি মোটরসাইকেল লুট করে নিয়েছে। এই ঘটনায় অস্ত্রের আঘাতে কয়েকজন প্রবাসী ও পরিবারের এক অন্তঃসত্ত্বা নারী আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটে পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তারান শরীফের নতুন বাড়িতে। গত ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, শনিবার ভোর আনুমানিক ৩টার দিকে একদল ডাকাত বাড়ির ছাদে প্রবেশ করে এবং প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে লুটপাট চালায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই বাড়িতে দুই ভাই প্রবাসী। গভীর রাতে ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে পরিবারের সকল সদস্যকে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। তারা ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করার পাশাপাশি ঘরে থাকা খাবারও খায় এবং এক পর্যায়ে নিজেদের পোশাক পরিবর্তন করে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় ডাকাতরা বাড়ির প্রধান ফটক দিয়ে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। ডাকাতরা চলে গেলে পরিবারের সদস্যরা একে অপরের বাঁধন খুলে প্রতিবেশীদের খবর দেন।
আরও পড়ুন
ডাকাতির শিকার প্রবাসী নেজাম উদ্দিন জানান, অস্ত্রধারী ডাকাতরা তাদের ঘরে ঢুকে পরিবারের সকলের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় এবং হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর তারা স্বর্ণালংকার ও নগদ ৭০-৮০ হাজার টাকা লুট করে এবং যাওয়ার সময় একটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। ডাকাতরা ডাকাতির সময় প্রবাসী সদস্যদের উদ্দেশ্য করে বলে, প্রবাস থেকে তারা এসেছেন এবং তাদের কাছে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা আছে বলে তারা খবর পেয়েছে।
ধলঘাট ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার বিকাশ দাশ গণমাধ্যমকে জানান, ডাকাত দল ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ চারজনকে মারধর করে এবং বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পটিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে, তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তারেকুল ইসলাম আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন। উল্লেখ্য, এর আগে পটিয়ার ভাটিখাইন ও হাইদগাঁও গ্রামেও একই ধরনের গণ-ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল।