অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক শিক্ষার্থীর কাছেই বিদেশে উচ্চশিক্ষা রীতিমতো অসাধ্য মনে হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি সরকার ঘোষিত ৭০০টি পূর্ণ অর্থায়িত আন্তর্জাতিক বৃত্তি সেই চিত্র পাল্টে দিতে পারে। আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা, গবেষণার উন্নত পরিবেশ এবং সম্পূর্ণ খরচ বহনের প্রতিশ্রুতি—সব মিলিয়ে এ সুযোগ নতুন প্রজন্মের জন্য ভবিষ্যতের দ্বার উন্মোচন করছে।
এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা সৌদি আরবের অন্তত ২৫টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। বাংলাদেশসহ বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এতে আবেদন করতে পারবেন। সৌদি আরবের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হচ্ছে।
বৃত্তির সুবিধাসমূহের মধ্যে রয়েছে—বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৯০০ রিয়াল এবং মানবিক বিভাগের জন্য ৮৫০ রিয়াল মাসিক উপবৃত্তি, বিনা মূল্যে আন্তর্জাতিক বিমান টিকিট, আবাসনের ব্যবস্থা, বিবাহিতদের জন্য আসবাবপত্রসহ অ্যাপার্টমেন্ট, স্বাস্থ্যবিমা, ওমরাহর সুযোগ এবং স্থানীয় যাতায়াতের জন্য অতিরিক্ত ভাতা।
আরও পড়ুন
আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে উল্লেখযোগ্য হলো—স্নাতকোত্তর প্রার্থীর বয়স সর্বোচ্চ ৩০ বছর এবং পিএইচডি’র জন্য ৩৫ বছর। আবেদনকারীকে অবশ্যই আইনানুগভাবে ক্লিন হতে হবে এবং একজন শিক্ষার্থী কেবল একটি বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।
উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে—ইমাম মুহাম্মদ ইবনে সৌদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়, উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়, বাদশাহ ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয়, কিং খালিদ বিশ্ববিদ্যালয়, প্রিন্সেস নোরা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও অনেকে।
আবেদন প্রক্রিয়াটি সরাসরি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়েই সম্পন্ন করা যাবে। সেখানে বিস্তারিত তথ্য ও আবেদন ফরম পাওয়া যাবে। আবেদনের শেষ তারিখ: ৩১ অক্টোবর, ২০২৫।
এই বৃত্তি কেবল শিক্ষার সুযোগ নয়, বরং এটি হতে পারে একজন শিক্ষার্থীর জন্য একটি নতুন জীবনের সূচনা। তাই আগ্রহীদের এখন থেকেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।