বিদেশে পাড়ি দিয়ে ভাগ্য ফেরানোর স্বপ্ন ছিল নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কৃষক শহিদুল ইসলামের। প্রতি মাসে ৭০ হাজার টাকা বেতনে দোকানে চাকরির প্রতিশ্রুতি পেয়ে শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে দেশ ছেড়েছিলেন। কিন্তু ফিরলেন সর্বস্ব হারিয়ে—হতাশ, নিঃস্ব ও অপমানিত হয়ে।
২০২৩ সালে স্থানীয় প্রবাসী দালালদের আশ্বাসে ঋণ, জমি বন্ধক এবং গরু-ছাগল বিক্রির টাকা মিলিয়ে প্রায় সাড়ে সাত লাখ টাকা খরচ করে সৌদি আরব যান শহিদুল। তবে বাস্তবতা ছিল বিভীষিকাময়। চাকরির কোনো ব্যবস্থা হয়নি, দেওয়া হয়নি আকামাও। দিনের পর দিন কাজহীন অবস্থায় একটি ঘরে বন্দি থেকে শেষমেশ তিন মাসের মাথায় খালি হাতে দেশে ফিরে আসতে হয় তাকে।
দেশে ফিরে শহিদুল আইনগত সহায়তার জন্য পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থার কাছেও দ্বারস্থ হন। তবে তার পরিবার জানিয়েছে, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও কোনো ধরনের সুরাহা মেলেনি। অর্থ ফেরত তো পাওয়া যায়নি, বরং প্রতারকদের পক্ষ থেকে ভয়ভীতি ও গালাগালের শিকার হতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন
এলাকাবাসীর ভাষ্য অনুযায়ী, শহিদুলের মতো আরও অনেকেই একইভাবে প্রতারিত হয়ে বিদেশ থেকে নিঃস্ব হয়ে ফিরে এসেছেন।
তারা বলছেন, প্রবাসে গমনেচ্ছুদের রক্ষা করতে হলে অবিলম্বে দালালচক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতারিতদের আইনি সহায়তা ও পুনর্বাসনের জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।