দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ ওমানের শ্রমবাজার। এরমধ্যে একাধিকবার বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে ভিসা চালুর চেষ্টার কথা বলা হলেও বাস্তবে তার কোনো সুফল কর্মীরা পাচ্ছেন না। এজন্য সংশ্লিষ্টরা অবশ্য ওমানের শ্রমবাজারকেন্দ্রিক নিজস্ব স্ট্রাটেজির কথা বলছেন। কারোর কারোর ধারণা, কপাল ভালো হলে চলমান সাধারণ ক্ষমা কর্মসূচী সফলভাবে শেষ হলে বাংলাদেশিদের জন্য ফের ওমানের বাজার খোলার সম্ভাবনা রয়েছে।
জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা বলছেন, প্রবাসীদের শ্রমের বিনিময়ে ডলার বাংলাদেশ পাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ নেই। বাজার ছোট হয়ে আসার কারণ হিসেবে দেশের অভিবাসন প্রক্রিয়ার ‘অনৈতিক চর্চার’ কথাও বলছেন কেউ কেউ। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ওমান ২০২৩ সালে নেয় ১ লাখ ২৭ হাজার ৮৮৩ জন কর্মী। ২০২৪ সালে সেটি কমে দাঁড়ায় ৩৫৮ জনে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গেছেন কেবল ২৪ জন।
ওমানের মত অবস্থা মালয়েশিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশের। সবমিলিয়ে ২০২৩ সালে যেখানে বিদেশে গিয়েছেন ১৩ লাখ ৫ হাজার ৪৫৩ জন, সেখানে ২০২৪ সালে এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ১১ হাজার ৯৬৯ জনে। অর্থাৎ এক বছরে প্রায় ২২ শতাংশ কম কর্মী গেছেন।
আরও পড়ুন
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই মাসে বিদেশে যাওয়া কর্মীর সংখ্যা এক লাখ ৬০ হাজার ৩০৩ জন। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশই গেছেন সৌদি আরব। যা নতুন করে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে।