ইতালির রোমে ওমানের দূতাবাসে পরমাণু ইস্যুতে ইরান-মার্কিন আলোচনার দ্বিতীয় দফা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবারের এই বৈঠকেও একসঙ্গে এক ঘরে বসেননি দুপক্ষের প্রতিনিধিরা। আলাদা দুটি কক্ষে বসে তাঁরা পরোক্ষভাবে আলোচনা করেছেন।
ইরান আগেই জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সরাসরি আলোচনায় তারা যাবে না। পরোক্ষ এই বৈঠকে প্রধান মধ্যস্থতাকারী ছিলেন ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর বিন হামাদ আল বুসাইদি। তিনি দুই পক্ষের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করেন। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই তাঁদের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আলোচনা শুরুর আগে ওমানি দূতাবাসের প্রবেশপথে ইতালীয় পুলিশকে ইরানি প্রতিনিধিদলের যানবাহন পাহারা দিতে দেখা যায়।
কূটনীতি ব্যর্থ হলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাব্য হুমকির আবহে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হলো। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে আলোচনার মূল পর্ব শুরু হয়। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি এবং ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ তাঁদের প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ট্রাম্প জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের কথা বলে আসছেন। ওয়াশিংটন চাইছে, ইরান অতি সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন বন্ধ করুক, যা পারমাণবিক বোমা তৈরির লক্ষ্যে উৎপাদন করা হচ্ছে বলে তারা বিশ্বাস করে। তেহরান বরাবরই বলে আসছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। তারা বলছে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বদলে তারা কিছু বিধিনিষেধ নিয়ে আলোচনা করতে ইচ্ছুক। তবে ২০১৮ সালের মতো ওয়াশিংটন যে আর পিছু হটবে না, তার নিশ্চয়তা চায় তারা।