আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের শুনানির সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল ইসলাম। বিচারপতিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আজ আমি এখানে দাঁড়িয়ে থাকার কথা না। আমি নির্দোষ, আমাকে বাঁচান।
এ ঘটনায় চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল ইসলামসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উপস্থাপন করেন। তাজুল ইসলাম সাভারের গণহত্যার ঘটনার বর্ণনা দেন। শতাধিক ব্যক্তির হত্যা, আহত ও লাশ পোড়ানোর ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করেন। তাদের মধ্যে ছিলেন সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহিদুর ইসলাম ও সাবেক ওসি মাজহারুল ইসলাম।
শুনানির সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করে মাজহারুল ইসলাম কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, আমি কখনো সাভারে দায়িত্ব পালন করিনি। আমি সবসময় ছাত্রদের পক্ষে ছিলাম। এ সময় আদালত তাকে বলেন, আমরা দেখব, যদি আপনার সম্পৃক্ততা না থাকে তাহলে আপনি ন্যায় বিচার পাবেন। পরে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, মাজহারুল ইসলাম সাভারে ছিলেন না। তিনি গুলশান থানার ওসি ছিলেন।
এরপর তাজুল ইসলাম গুলশানে মাজহারুল ইসলামের সময়কার হত্যার বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, গুলশান থানায় দায়িত্ব পালনকালে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে হত্যার নির্দেশ দেন মাজহারুল ইসলাম। তবে গুলশানের হত্যাযজ্ঞের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি মাজহারুল ইসলাম।
এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাবেক পুলিশ প্রধান ও এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালকসহ আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তদন্ত শেষ করতে এক মাসের সময় বেঁধে দিয়েছে। একইসঙ্গে তাদের কারাগারে রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৯ ডিসেম্বর এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেয়।
এ দিন সকালে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আট কর্মকর্তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার জন্য প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে আসা হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post