‘এই দিন দিন না, সামনে ভালো দিন আসবে। সব দিন তো এক রকম যায় না।’ এজলাসে দাঁড়িয়ে এমন মন্তব্য করেছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) নিউমার্কেট থানার ব্যবসায়ী ওয়াদুদ হত্যা মামলায় রিমান্ড শুনানির সময়ে তিনি এমন কথা বলেন। এদিন সকাল ৯টার দিকে গ্রেফতার কামরুলকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়।
আজ রিমান্ড শুনানির একপর্যায়ে তাকে কিছু বলার জন্য অনুমতি দেয়া হয়। এসময় কামরুল ইসলাম বলেন, আমার এলাকা কেরানীগঞ্জ। নিউমার্কেট এলাকা আমার অধীনে নয়। আমি নিজে ওই এলাকার এমপিও না। এ মামলায় আমাকে ৫৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে। আমার নামটি হয়তো শেষ মুহূর্তে ভুলে এজাহারে লিখে দেয়া হয়েছে। আমি ঢাকা বার ও সুপ্রিম কোর্ট বারের আজীবন সদস্য। আমি কোনো অন্যায় করিনি। সরকারের কোনো দায়িত্বেও ছিলাম না।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজিজুল হক দিদার বলেন, তিনি (কামরুল ইসলাম) সব হত্যাকাণ্ডে জড়িত। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মিটিংয়ে থেকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। এ কথা শুনে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সব দিন তো একরকম যায় না। এই দিন দিন না, সামনে ভালো দিন আসবে।’
তার এমন মন্তব্যে উপস্থিত আইনজীবীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে পরিবেশ শান্ত হলে আদালত তাকে ৮ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এরপর পুলিশের চাওয়া ১০ দিনের রিমান্ড শুনানি শুরু হয়। এসময় আসামিপক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ অনেকগুলো মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে ছিলেন কামরুল ইসলাম। তিনি ২০১৪ সাল ১৩ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে, তিনি ২০০৮ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ঢাকা-২ আসনের এমপি ছিলেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post