ওমানে মহামারী করোনায় আরও এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। কিছুক্ষণ পূর্বে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। মৃত্যু ব্যক্তির বয়স ৬৬ বছর। এ নিয়ে ওমানে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৫ জন।
এদিকে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে বৃহস্পতিবার দেশটির সুপ্রিম কমিটির সদস্যরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওমানে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে প্রবাসী শ্রমিক, যা দেশটিতে উদ্বেগ তৈরি করছে। এদিকে ওমানে মহামারী করোনা মোকাবেলায় সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে স্বাস্থ্য কর্মীদের ত্যাগ জাতি আজীবন স্মরণ রাখবে। তবে এইসময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজেদের কর্মক্ষেত্রে রয়েছেন ওমানের স্বাস্থ্যকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় দেশটিতে প্রায় ১০৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ওমানে করোনাভাইরাস এখনও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েনি তাই এই ভাইরাস মোকাবেলায় আমাদের অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে এবং অন্যের জীবনকে বিপন্ন করা যাবে না। মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ওমানের হাসপাতালে করোনায় চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬৮ জন ও আইসিইউতে রয়েছেন ২২ জন।
তিনি আরও বলেন, দেশটিতে ১০৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত। যাদের ৮০ শতাংশ কমিউনিটি ক্লাস্টারে সংক্রমিত হয়েছেন।
এসময় ড. আমাল আল মাআনী বলেন, ওমানে স্টিম সেল থেরাপি নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। করোনা মোকাবেলায় অতিদ্রুত প্রতিষেধক তৈরি করতে পারবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যুর সংখ্যা যেকোনো সময় বাড়তে পারে। তাই সকল জনগণকে সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য আহ্বান জানানো হয়। ইতিমধ্যেই ওমানে এই বছর সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবর্ষ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংক্রামণের হার কমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post