বর্তমানে কমবেশি সবাই ইয়ারফোন ব্যবহার করেন। বিশেষ করে ওয়্যারলেস ইয়ারফোনের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আজকাল ইয়ারফোন আমাদের দৈনন্দিন রুটিনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে।
ভ্রমণে কিংবা বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিংবা খাওয়া বা ব্যায়াম করার সময়ও অনেকেই কানে ইয়ারফোন ব্যবহার করেন। তবে একটানা ইয়ারফোন ব্যবহারে কত বড় বিপদ হতে পারে জানেন কী?
সম্প্রতি তুরস্কের এক নারী তার ওয়্যারলেস ইয়ারফোনে ব্যস্ত ছিলেন। এমন সময় তার কানের ইয়ারবার্ড ফেটে যায়। এতে চিরতরে বধির (শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া) হয়ে যান তিনি।
তাই ইয়ারবার্ড ব্যবহার করার সময় কতটা যত্ন নেওয়া উচিত ও কীভাবে এটির দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায় তা জানা জরুরি সবার।
জানলে অবাক হবেন, আপনার এই অভ্যাস কানের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। বিভিন্ন রিপোর্ট অনুসারে, উচ্চস্বরে গান শোনা ও ইয়ারফোন অত্যধিক ব্যবহারে কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, ইয়ারফোনের অত্যধিক ব্যবহার বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ যুবকের শ্রবণ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করছে। ইয়ারফোন দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি গুরুতর হতে পারে। ইয়ারফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে কানের পর্দা ক্রমাগত চাপে থাকে ও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ক্ষতিও বাড়তে থাকে।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, ইয়ারফোনের অত্যধিক ব্যবহার বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের শ্রবণ ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে, বিশেষ করে তরুণদের। এছাড়া ক্রমাগত ইয়ারফোন ব্যবহারের ফলে কানের সংক্রমণ, কানে ব্যথা, মাথাব্যথা ও অনিদ্রার মতো সমস্যাও হতে পারে।
কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন?
ইয়ারফোন ব্যবহার করার সময় এক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন- ভলিউম কম রাখা, ক্রমাগত ইয়ারফোন ব্যবহার না করা ও মাঝে মধ্যে বিরতি নেওয়া। এছাড়া আপনার নিয়মিত কান পরীক্ষা করানো উচিত।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post