ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে ভারতে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিল্লি থেকে শেখ হাসিনার দুবাইয়ে খবরটি গুজব। এদিকে হঠাৎ গুঞ্জন ছড়ায় ভারত ছেড়ে আরব আমিরাতে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি।
তবে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির বাংলা বাংলা বিভাগ এবং ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার হাসিনার ভারতে অবস্থান করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আনন্দবাজার বলছে, বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রাণ বাঁচাতে শেখ হাসিনা দুই মাসের বেশি সময় আগে ভারত পালিয়ে এসেছেন, তখন তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট ছিল। ফলে ৪৫ দিন পর্যন্ত ভারতে থাকাটা দুদেশের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী বৈধ। কিন্তু, এরপর অবৈধ হয়ে যাওয়ার তিন সপ্তাহ পরেও শেখ হাসিনা তিন সপ্তাহ কীভাবে দিল্লিতে অবস্থান করছেন, তা নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকার এখনও কোনো কিছু স্পষ্ট করেননি।
এদিকে সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন, তার মা ভারত ছেড়ে গিয়েছে বলে যে খবর শোনা যাচ্ছে, তা সঠিক নয়। ভারত ছেড়ে যেতে শেখ হাসিনার ওপর কোনো চাপ নেই বলে জানায় ভারতীয় গণমাধ্যম।
এর আগে জয় বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত ছাড়তে কোনো চাপ নেই।’
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর একটি বিমানে দিল্লির কাছে গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করেন তারা। এদিকে শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকা কূটনৈতিক পাসপোর্টও বাতিল করে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ধরনের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া ভারতে ৪৫ দিন বৈধভাবে থাকতে পারেন। কিন্তু শেখ হাসিনা প্রায় দুই মাস ধরে ভারতে অবস্থান করছেন। কূটনৈতিক পাসপোর্টে তার বৈধভাবে অবস্থানের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। এখন তারা দেশটিতে কিভাবে অবস্থান করছেন, তা পরিষ্কার করেনি ভারত।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post