মহামারী করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ফ্রান্সে আবারও চার সপ্তাহের জন্য দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি তিন সপ্তাহের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। শনিবার (৩-এপ্রিল) থেকে এই আইন কার্যকর হবে। নতুন করে লকডাউনের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন অনেকে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন অনেকেই।
বুধবার রাতে (৩১ মার্চ) টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে ম্যাক্রোঁ বলেন, আমরা নার্সারি, প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়গুলো তিন সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখছি। আমরা যদি এখনই পদক্ষেপ না নিই তাহলে আমরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলব। ফ্রান্সের করোনা পরিস্থিতিকে ‘ভঙ্গুর’ বর্ণনা করে এবং এপ্রিল মাসকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করে ম্যাক্রোঁ বলেন, এটি একদিকে ভ্যাকসিন দেওয়া ও অন্যদিকে ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের প্রতিযোগিতা।
মার্চের শুরুর দিকে ফ্রান্সের বেশ কিছু অঞ্চলে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ থাকলেও এপ্রিল থেকে তা বর্ধিত করে দেশব্যাপী কার্যকর করা হলো। ম্যাক্রোঁ বলেন, ১৯ জেলায় এ মাসের (মার্চ) শুরুর দিকে যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল, তা দেশব্যাপী আরোপিত হবে। এসবের মধ্যে রয়েছে নিত্য-প্রয়োজনীয় নয় এমন দ্রব্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, কোনো ব্যক্তির বাড়ির ১০ কিলোমিটারের মধ্যে শরীরচর্চার জায়গা সীমিতকরণ ও বিশেষ কারণ ছাড়া দেশের অন্য কোথাও ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা।
এ ছাড়া ফ্রান্সজুড়ে সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে। ম্যাক্রোঁ জানান, ইস্টার উপলক্ষে ছুটি দেওয়া হবে যেন মানুষজন তাদের পছন্দমতো জায়গায় গিয়ে লকডাউন কাটাতে পারে। করোনা আক্রান্তে বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে দেশটি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post