২০২২-২০২৩ সালের প্রথমার্ধে স্থায়ীভাবে দেশ ছাড়ার তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে ইসরায়েলিদের মধ্যে। দেশটির সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকস (সিবিএস) এর তথ্য অনুযায়ী বিচার বিভাগের সংস্কারের পর থেকে এই প্রবনতা অব্যাহত রয়েছে।
ইসরায়েলি সম্প্রচার মাধ্যম চ্যানেল১৩ এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েলের বিচার বিভাগের সংস্কার পরিকল্পনার কারণে কয়েক বছর যাবত ব্যাপক নাগরিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাংবিধানিক শূন্যতার কারণে ধারাবাহিক নির্বাচন হতে থাকে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২১ সালে প্রায় ৩১ হাজার ইসরায়েলি দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। তাদের মধ্যে পরবর্তীতে ফিরে এসেছিল ২৯ হাজার মানুষ। ২০২২ সালে ৩৮ হাজার জন ইসরায়েল ছাড়ার ঘোষণা দেয়, ফিরে আসে ২৩ হাজার, ২০২৩ সালে ৫৫ হাজার ৩০০ জন দেশ ছাড়ার পরে ফিরে এসেছে মাত্র ২৭ হাজার।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণ এবং হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘর্ষের পর থেকে এই বিষয়ক আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলি সাংবাদিক মাতান হোদোরভ বলেন, আগে দেশ থেকে কমপক্ষে এক বছরের অনুপস্থিতির ওপর অভিবাসীদের সংখ্যা গণনা করা হয়েছিল। তবে এখন ইসরায়েলের হিসেবে যারা বছরে ২৭৫ দিন বিদেশে থাকছে তাদের অভিবাসী হিসেবে গণনা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এই তথ্য প্রমাণ করে শিক্ষিত আরও অনেক ইসরায়েলি এখন দেশ ছেড়ে যাচ্ছে। যারা দেশ ছাড়ছেন তাদের মধ্যে অনেকেই ডাক্তার, গবেষক, প্রোগ্রামার, ইঞ্জিনিয়ার। যার কারণে দেশের জিডিপি এবং কর রাজস্বের বিশেষ ক্ষতি হচ্ছে।
দেশটির আরেক সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল১২ এক প্রতিবেদনে দেখায়, অক্টোবরের গণহত্যা এবং গাজায় যুদ্ধ পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে স্থায়ীভাবে দেশ ছাড়ার সংখ্যা বেড়েছে ইসরায়েলিদের মধ্যে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post