দেশে চলমান আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ বাংলাদেশি শ্রমিককে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে দেশটির আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত শ্রমিকদের জন্য এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বাংলাদেশ সরকার।
তবে সরকার যেন প্রবাসীদের পাশে দাঁড়িয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে বা তারা যেন সাধারণ ক্ষমা পান, সেই দাবি এখন জোরালো হচ্ছে।
এ বিষয়ে গত ২৫ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, সংশ্লিষ্ট দেশের আইন সম্পর্কে কর্মীদের সচেতন হওয়া উচিত। যারা আইন ভঙ্গ করবে, দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে, তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে। এখানে সরকারের কিছু করার নেই।
গত ২৩ জুলাই বিবিসির এক সংবাদে বলা হয়, আসামিরা বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেশ কয়েকটি রাস্তায় জড়ো হয়ে বড় আকারের মিছিল বের করে।
সেদিন দেশটির পুলিশ তাদের সতর্ক করলেও বিক্ষোভকারীরা থামেনি। এ কারণে তাদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও সভা-সমাবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ। দেশটির দণ্ডবিধি, ২০২১ এর ২১২ অনুচ্ছেদে বলা আছে, যে সমস্ত ব্যক্তি দাঙ্গা, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর উদ্দেশ্যে মিছিল, মিটিং বা প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিবে, চেষ্টা করবে, অথবা উসকানি দেবে তাদেরকে এই আইন অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেবে আদালত।
এই আইন মোতাবেক প্রবাসীদের তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। কারাদণ্ড শেষে সবাইকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আদেশও দিয়েছেন আদালত।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post