ভারতের কেরালার ওয়েনাদ জেলায় প্রবল বৃষ্টির কারণে ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। রাজ্যের রাজস্ব দপ্তর জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮২জনে।
গত মঙ্গলবার থেকে উদ্ধার অভিযান চলছে। পুরো শহর নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, শত শত মানুষ আটকে পড়েছেন। উদ্ধার অভিযানে নেমেছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, এনডিআরএফ ও পুলিশ।
মঙ্গলবার কেরালার পাহাড়ঘেঁষা ওয়ায়ানাদ জেলায় ব্যাপক ভূমিধস হয়। চুড়ামালা গ্রামের প্রায় সব বাড়িঘর ও দোকানপাট ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে যায়। গ্রাম জুড়ে হাহাকার। এখনো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে গাড়ি ও দুই চাকা।
কেরালার ওয়েনাদ জেলার মেপ্পাদি পঞ্চায়েতের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের কারণে গ্রামটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভোর হতে না হতেই গ্রামের চেহারা একেবারে বদলে যায়। হড়পা বান ও ভূমিধসে ভেগে যায় একটি বাগানের শ্রমিকদের কোয়ার্টার। পাশাপাশি সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বড় অংশও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। স্কুলের অধ্যক্ষ জানান, প্রায় দুই ডজন ছাত্র নিখোঁজ রয়েছে।
গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভূমিধস প্রবণ এলাকা না হওয়ায় এমন বিপর্যয় তারা কখনই আশা করেননি। মালাপ্পুরম জেলার নীলাম্বুর অঞ্চলে কয়েক কিলোমিটার দূরে গ্রামের বেশ কিছু লোক ভেসে গেছে, অনেক মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পাঁচজন আত্মীয়কে হারিয়েও বেঁচে গেছেন ডলি নামের এক নারী। তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ যদি মুন্ডাক্কাই থেকে আরও বেশি লোককে স্থানান্তরিত করত, তাহলে প্রাণহানি এড়ানো যেত।
এদিকে, প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। প্রতিবেশী এই দেশটির জাতীয় রাজধানীতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বাসিন্দাদের অযথা বাইরে বের না হতে এবং বাড়িঘরের ভেতরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া বৃষ্টি সম্পর্কিত ঘটনায় দিল্লিতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। শহরের বহু রাস্তা প্লাবিত হয়েছে এবং সকল স্কুল বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাত বুধবার দিল্লিকে স্থবির করে দিয়েছে। মূলত ভারী বৃর্ষণের জেরে ভারতের জাতীয় এই রাজধানীর বেশ কয়েকটি অংশে তীব্র জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post