বিশ্বের বুকে শত শত ধর্ম ও সম্প্রদায় আছে। এই সব ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম মেনে চলা মানুষের সংখ্যা লক্ষাধিক। এমনকি, কোটি কোটিও বলা যায়। পুরো পৃথিবীতে অনেক অনেক ধর্ম আছে। তবে বর্তমানে আল্লাহর মনোনীত ধর্ম একটিই। আর তা হলো ইসলাম।
পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষ খ্রিস্টধর্মে বিশ্বাসী। আর এর পরেই স্থান ইসলাম ধর্মের। বিশ্বে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতেই সব থেকে বেশি সংখ্যক মুসলিম বাস করেন। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হল ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ওমান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ইরান, ইরাক ইত্যাদি।
বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে গেলে প্রায় সর্বত্রই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের দেখা পাওয়া যাবে। কিন্তু বিশ্বে এমন একটি ক্ষুদ্র দেশ রয়েছে যেখানে কোনো মুসলিম নেই। মূলত দেশটি তৈরিই হয়েছে খ্রিস্টানদের জন্য।
কথা বলছিলাম বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ ভ্যাটিকান সিটির কথা। ইউরোপ মহাদেশের এই জায়গাটি ‘পোপের দেশ’ নামেও পরিচিত।
ভ্যাটিকান সিটির আয়তন মাত্র ০.৪৪ বর্গকিলোমিটার। এটি ইতালির রোম শহরের মধ্যস্থলে প্রাচীর বেষ্টিত একটি এলাকা। ভ্যাটিকান সিটির অভ্যন্তরে কোনো প্রাকৃতিক জলাশয় নেই। শহরটি মূলত একটি ছোট পাহাড়ের উপর অবস্থিত, যার নাম ভ্যাটিকান পাহাড়।
এই ক্ষুদ্র পরিসরের মাঝে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা, সিস্টিন চ্যাপেল, অ্যাপোস্টালিক প্যালেস ও জাদুঘর স্থাপিত হয়েছে। অঞ্চলটি পূর্বে ১৯২৯ পর্যন্ত রোমের উপশহর ছিলো। এরপর টাইবার নদী দ্বারা শহরটিকে রোম থেকে আলাদা করা হয়।
ভ্যাটিক্যান সিটির জনসংখ্যা মাত্র ৪০০। আর এই দেশের নিজস্ব কোনও সেনাবাহিনীও নেই। ইতালির রাজধানী রোমের অভ্যন্তরে অবস্থিত এই দেশের সুরক্ষার দায়িত্বে রয়েছে ইতালি সেনা স্যুইস গার্ড। বহু বছর আগে ভ্যাটিকান সিটিকে রক্ষা করার জন্য স্যুইস মিশনারিদের খসড়া তৈরি করেছিলেন পোপরা। ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই দেশের জনসংখ্যা ছিল মাত্র ৪৫৩। তবে এখানকার কিছু নাগরিক বিদেশে থাকেন, তাদের সংখ্যা প্রায় ৩৭২।
ইতালি থেকে ভ্যাটিকানে প্রবেশ করতে কোনো পাসপোর্টের প্রয়োজন হয় না। পোপের জনসভা এবং সেন্ট পিটার্স স্কয়ার ও ব্যাসিলিকাগুলো সকলের জন্য উন্মুক্ত। যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনে যুক্ত হতে আগ্রহীদের আগে থেকেই ‘উন্মুক্ত’ টিকিট সংগ্রহ করতে হয়। সিস্টিন চ্যাপেলের সাথে যুক্ত ভ্যাটিকান জাদুঘরে প্রবেশ মূল্য পরিশোধ করতে হয়। বাগানগুলো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়, তবে সীমিত পরিসরে গাইডের তত্ত্বাবধায়নে বাগানে ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হয়। অন্য জায়গাগুলোতে যাদের কাজ রয়েছে শুধু তাদেরই প্রবেশ করতে দেয়া হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
Discussion about this post