মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ও সেলাঙ্গরে পৃথক অভিযানে বাংলাদেশিসহ ৫৯ জনকে আটক করেছে অভিবাসন বিভাগ।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সেলাঙ্গরের ক্লাং উপত্যকায় অভিযান চালিয়ে ২৫ জন ও শুক্রবার (২৬ জুলাই) কুয়ালালামপুরের কমপ্লেক্স দামাই এলাকা থেকে ৩৪ জন অবৈধ প্রবাসীকে আটক করা হয়।
অনুমতিপত্র, পরিচয়নথি ছাড়া কাজ করার অপরাধে সেলাঙ্গরের ক্লাং উপত্যকার আশপাশে অভিযান চালিয়ে ২৫ জনকে আটক করে ইমিগ্রেশন।
জনসাধারণের অভিযোগের পর ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের (জেআইএম) এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনের অফিসারদের সমন্বয়ে অ্যাপেটাইট অপস এবং শপিং অপস- নামে পরিচালিত অভিযানে কমপ্লেক্স দামাই এলাকা থেকে মোট ৩৪ জনকে আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে ২২ বাংলাদেশি, ২ নেপালি, ৪ ভারতীয়, ৫ পাকিস্তানি এবং একজন ইন্দোনেশিয়ান নারী রয়েছেন।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অবৈধ অভিবাসীদের দ্বারা খাবার পরিবেশনকারী বেশ কয়েকটি প্রাঙ্গণে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর ওয়ান মোহাম্মদ সাউপি ওয়ান ইউসুফ এক বিবৃতিতে বলেন, মালয়েশিয়ায় থাকার বৈধ পাসপোর্ট বা পারমিট না থাকা, অতিবাহিত হওয়া এবং পাসপোর্টের শর্তাবলি মেনে চলতে ব্যর্থ হয় তারা।
৩০ থেকে ৬০ বছর বয়সী আটক ৩৪ অভিবাসী ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ অনুযায়ী আরও তদন্তে বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিপোতে তাদের রাখা হয়েছে।
সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক খায়রুল আমিনুস কামারউদ্দিন জানান, আটকদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ ও চীনের ১৮ জন পুরুষ ও সাতজন নারী রয়েছে, যাদের বয়স ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
আটক অবৈধ অভিবাসীরা হকার, মুদি দোকানের কর্মী, রেস্তোরাঁর কর্মী, নাপিত, বিনোদন কেন্দ্রে ওয়েটার এবং গাড়ির ওয়ার্কশপের কর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post