গত ৫ জুলাই বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) অধীনে বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার ১৭ জনের একজন শাহাদাত হোসেন। তিনি কাজ করেন পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী বা গার্ড হিসেবে। পিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গড়েছেন অনেক সম্পদ।
শাহাদাতের গ্রামের বাড়ি নাটোরের সিংড়ায়। রাজধানীর কাফরুলের ইব্রাহিমপুরে তার আছে একটি বাড়ি, দাম কয়েক কোটি টাকা। নারায়ণগঞ্জে কিনেছেন কয়েক বিঘা জমি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাফরুলের এক বাসিন্দা জানান, কাফরুল-ইব্রাহিমপুর এলাকায় প্রতি কাঠা জমির দাম ৬০-৭০ লাখ টাকা। ভবনসহ ওই জমির দাম তিন কোটি টাকারও বেশি হবে।
এছাড়া শাহাদাত গ্রামের বাড়ি নাটোরের সিংড়াতে বাগানবাড়ি ও জমি কিনেছেন বলে সিআইডি সূত্রে জানা গেছে। কাফরুলে তিনি যে বাসায় থাকতেন, সেই ফ্ল্যাটের আনুমানিক দাম তিন কোটি টাকা। বিলাসবহুল ইন্টেরিয়র করেছেন কয়েক মাস আগে।
গত ৬-৭ বছরে শাহাদাত ১০-১২ কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন পিএসসির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করে। তাকে এসব কাজে সহায়তা করতেন পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর, ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মামনুর রশিদ। তাকেও গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে সিআইডি।
পাসপোর্ট অফিসে চাকরির সুবাদে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূল হোতা সৈয়দ আবেদ আলী, খলিলুর রহমান ও সাজেদুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় হয় শাহাদাতের।
জানা যায়, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার পর থেকে তার বাড়ি ঘিরে মানুষের কৌতূহল তুঙ্গে। তবে বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী কোনো কথা বলছেন না, কাউকে ভেতরেও যেতে দিচ্ছেন না। ছবি তুলতে গেলেও সাংবাদিকদের বাধা দেওয়া হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের পিয়ন পদে চাকরি করলেও গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত এলাকায় মানুষজন জানতেন তিনি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার আসল পরিচয় জানা গেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post