বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী শিক্ষার্থীদের প্রতি সেমিস্টারে শত শত ডলার টিউশন ফি পাঠাতে হয় অভিভাবকদের। সেই টিউশন ফি’র ওপর এখন থেকে কর নেবে না বাংলাদেশ সরকার। প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ বাজেটে এ ধরনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
টিউশন ফিসহ ছয় ধরনের কাজে বিদেশে অর্থ পাঠাতে উৎসে কর কেটে রাখার বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে।
অন্য পাঁচটি খাত হলো- বিদেশের কোনো কর্তৃপক্ষকে অর্থ পরিশোধ, পেশাজীবী সংগঠনের চাঁদা পরিশোধ, বিদেশে অবস্থিত কোনো প্রতিষ্ঠানের লিয়াজোঁ অফিস, বিদেশে পণ্য উন্নয়ন ও বাজারজাতকরণ ও নিরাপত্তা জামানত।
প্রতিবছর বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ভারত, মালয়েশিয়া ও চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করে। এ ছাড়া জাপানসহ ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী আছেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর কর্মকর্তারা জানান, ডলার-সংকটের কারণে অনেক ব্যাংক বিদেশে টিউশন ফি বাবদ ডলার পরিশোধে অনীহা দেখায়। এখন এই ডলারে টিউশন ফি পরিশোধে উৎসে কর কাটা হবে না। ফলে টিউশন ফির অর্থ পাঠাতে ভোগান্তি কিছুটা কমবে।
এর আগে, সাধারণত বিদেশে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অর্থ পরিশোধের সময় ৩০ শতাংশ উৎসে কর কেটে রাখা হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post