স্পষ্ট ঘোষণা না আসায় ওমানের কর্মী ভিসার মত ভিজিট ভিসা নিয়েও সংশয়ে রয়েছেন বাংলাদেশিরা। যে ১২ ক্যাটাগরির ভিসা চালুর খবর এসেছে তার মধ্যে ভিজিট ভিসা অন্যতম।
তবে উল্লেখ করা হয়েছে, সুনির্দিষ্টভাবে কেবল সেসব বাংলাদেশি ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন যারা উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থার অন্তর্ভুক্ত জিসিসির দেশগুলোতে বসবাস করছেন। অর্থাৎ ঢালাওভাবে সবার জন্য ভিজিট ভিসা উন্মুক্ত করা হয়নি।
এছাড়া অন্যান্য ক্যাটাগরিতে ভিসা চালু করলেও বাংলাদেশি অদক্ষ শ্রমিকদের জন্য আপাতত ওমান প্রবেশের কোনো সুযোগই রাখা হয়নি।
কেবল নিশেষায়িত চিকিৎসা খাতের ডাক্তার, নার্স, ফার্মাসিস্ট ছাড়া প্রযুক্তি ও প্রকৌশল খাত, শিক্ষক এবং হিসাবরক্ষক পেশায় বাংলাদেশিরা নতুন করে ভিসা নিয়ে ওমানে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
তবে অদক্ষ শ্রমিকদের জন্য ওমান থেকে কোনো সুখবর না আসায় তাদের অপেক্ষার পর্ব আরও দীর্ঘতর হচ্ছে।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশিদের জন্য সব ধরনের ভিসায় স্থগিতাদেশের ৭ মাস পর সিদ্ধান্ত বদলে ভিসা চালু করে ওমান। এই খবরে দেশটিতে থাকা সাধারণ প্রবাসীদের কেউ কেউ নাখোশ।
অন্যদিকে খুশি বেশিরভাগ প্রবাসী এবং ওমানে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিরা। এর আগে ভিসা প্রসঙ্গে ওমানে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে আলোচনা চালায় বাংলাদেশ।
প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ওমানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয়। পরে আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে ভিসা চালুর ঘোষণা দেয় ওমান সরকার।
পরে ওমানে শ্রমরপ্তানি চালু রাখার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে কোরিয়ার মত মধ্যপ্রাচ্যর বিভিন্ন দেশ ও ওমানের জন্য ডেডিকেটেড ট্রেনিং সেন্টার চালু করা হবে। তবুও বিদেশে দক্ষকর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া সচল রাখবে সরকার।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post