সম্প্রতি প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি)–এর তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে যে, স্বর্ণের ভাণ্ডারে সৌদিকে ছাড়িয়ে গেল এমন দেশও আছে। স্বর্ণ মজুদের দিক থেকে সৌদি আরব ও যুক্তরাজ্যকে ছাড়িয়ে গেছে ভারত।
ডব্লিউজিসির বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, স্বর্ণ মজুতের তালিকায় নবম স্থানে রয়েছে ভারত। আর সৌদি আরব ও যুক্তরাজ্য রয়েছে যথাক্রমে ১৬তম ও ১৭তম অবস্থানে।
এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। দেশটিতে স্বর্ণ মজুত রয়েছে ৮ হাজার ১৩৩ দশমিক ৪৬ টন, যার বর্তমান আর্থিক মূল্য ৪ লাখ ৮৯ হাজার ১৩৩ মিলয়ন ডলার। আর ৩ হাজার ৩৫২ টন মজুত নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জার্মানি। ইতালি, ফ্রান্স ও রাশিয়া রয়েছে যথাক্রমে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফোর্বস বলছে, ভারতের হাতে বর্তমানে স্বর্ণ মজুত রয়েছে ২ হাজার ১৯১ দশমিক ৫৩ টন, যার আর্থিক মূল্য ১ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৫ মার্কিন ডলার।
এদিকে রাশিয়া বলেছে, তাদের হাতে যে হিমায়িত সোনার রয়েছে, তা উন্নয়নশীল দেশগুলোর সাহাযার্থে জলবায়ু ক্ষতি মোকাবিলার তহবিলে দেওয়া যায় কি না, তা ভাবা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বর্ণকে মূল্যের স্থিতিস্থাপক ভাণ্ডার হিসেবে বিবেচনা করা হয় বলে বিশ্বের প্রায় সব দেশই স্বর্ণ মজুত রাখার চেষ্টা করে। কোনো দেশের মুদ্রার মান কেমন হবে, সেটি নির্ধারণেও এই মূল্যবান ধাতুর মজুতের পরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
স্বর্ণের দাম মার্কিন ডলারের বিপরীতভাবে সমানুপাতিক। এ কারণে ডলারের দাম কমলে স্বর্ণের দাম বেড়ে যায়। কিছু দেশ তাদের বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা কাটানোর জন্য বা ঋণের জন্য জামানত হিসেবে স্বর্ণের মজুতকে ব্যবহার করে থাকে।
অক্সফোর্ড গোল্ড গ্রুপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের মোট মজুত সোনার ১১ শতাংশই রয়েছে ভারতীয় পরিবারগুলোর কাছে। এটি আমেরিকা, জার্মানি, ইতালি এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সম্মিলিতভাবে মজুত থাকা স্বর্ণের থেকেও বেশি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post