সৌদি প্রবাসী মঈন ২০২০ সালে বিয়ে করেন সুমনাকে। ৩ মাস পর অন্তঃসত্ত্বা হন সুমনা। এরপর দেশে আসেন মঈন। কিন্তু সন্তান জন্মের ১০ মাস পরে আরেকজনকে বিয়ে করেন সুমনা। এতে অনিশ্চয়তায় পড়ে শিশুটির জীবন। শিশুটিকে মঈনের পরিবারকে দেখতেও দেওয়া হয় না।
এই অবস্থায় সন্তানের দায়িত্ব নিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মঈন। তাঁর পরিবারের দাবি, তালাক না দিয়েই দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন সুমনা।
এভাবে প্রবাসীদের সংসার ভাঙা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন হাইকোর্ট। দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলছেন, এই সংকটে অনেকের জীবন নষ্ট হচ্ছে। পরিবারের মধ্যে আস্থার সংকট দেখা দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তাঁরা। সামাজিক সংকট হিসেবে বিবেচনার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
রোববার এ সংক্রান্ত ঘটনাটির পারিবারিক সমস্যার সমাধান করে এসব মন্তব্য করেন বিচারপতি কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াত।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান বলেন, ‘যারা প্রবাসী তাদের নিয়ে আমরা প্রায়ই এমন কথা শুনি। দেশে থাকা স্ত্রী প্রবাসে থাকা স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক মেইনটেইন করছেন না বা অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক জড়িয়েছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অন্য কাউকে বিয়েও করে ফেলছেন। এগুলো সামাজিক একটা অবক্ষয়। আমরা এগুলো দেখতে চাই না।’
শুনানি শেষে শিশুকে বাবা ও তাঁর পরিবারকে দেখতে দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। রিটকারীর বাবার আইনজীবী শাহজাদা আল আমিন বলেন, ‘আদালত বলেছেন যে, বাচ্চাকে দেখার ক্ষেত্রে যেন কোনোরকম বাধা না দেওয়া হয়। বাচ্চার বাবা বা বাবার পরিবারের কেউ এলে যাতে সহজে দেখতে পারেন। যদি বাধা দেওয়া হয় তাহলে আদালতকে জানালে বাচ্চাকে বাচ্চার মায়ের কাছ থেকে নিয়ে আসা হবে।’
শুনানিতে উঠে আসে, শুধু স্ত্রী নন প্রবাসে থাকা স্বামীর কারণেও অনেক সংসার ভাঙছে। এমনটা বলছেন আইনজীবীরাও।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post