মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্ডানে পোশাক শিল্পের গোড়াপত্তন দুই দশক আগে। এরপর থেকে বিকাশ ঘটতে থাকে শিল্পটির। তবে দেশটির পোশাক শিল্পের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছেন প্রবাসী শ্রমিকরা, যাদের বড় অংশই বাংলাদেশী।
সম্প্রতি দেশটি তাদের তৈরি পোশাক শিল্প খাতে বাংলাদেশ থেকে ১২ হাজার দক্ষ শ্রমিক নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আগামী এক বছরের মধ্যে এসব শ্রমিকদের আম্মান পৌঁছানোর টার্গেট নির্ধারিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
মন্ত্রী জানান, সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল)-এর মাধ্যমে এসব কর্মী জর্ডান পাঠানো হবে। এজন্য জর্ডানের কারখানা মালিক ও তাদের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি দল ঢাকা সফর করবে।
আম্মানের বাংলাদেশ মিশন জানিয়েছে, জর্ডানে বাংলাদেশি কর্মীদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যার বেশির ভাগই তৈরি পোশাক খাতে। জর্ডান সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ এমন সমঝোতায় পৌঁছেছে যে, প্রতি বছর তারা বাংলাদেশ থেকে কমপক্ষে ১২ হাজার দক্ষ কর্মী নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আরো পড়ুনঃ ওমানে চাকরীর সুযোগ
আন্তর্জাতিক সংস্থার হিসাবে, জর্ডানের পোশাক শিল্পে কর্মরত প্রবাসী শ্রমিকদের মধ্যে বাংলাদেশীদের সংখ্যা বাড়ছে। ২০১৭ সালের ৪৯ শতাংশ থেকে ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৫৬ শতাংশ। জর্ডানের শিল্প খাতের কমপ্লায়েন্স পরিস্থিতি নিয়ে ২০১৮ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশনের (আইএফসি) যৌথ উদ্যোগ ‘বেটারওয়ার্ক’।
সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জর্ডানের পোশাক শিল্পে শ্রমিকের সংখ্যা ৬৫ হাজারের বেশি। এর মধ্যে মাত্র ১৬ হাজার স্থানীয় শ্রমিক। বাকি ৪৯ হাজারই বেশি অভিবাসী শ্রমিক, এদের প্রায় সবাই নারী। আর অভিবাসী শ্রমিকদের ৪৯ শতাংশ অর্থাৎ ২৪ হাজারই বাংলাদেশী।
আরো পড়ুনঃ বৈধভাবে কানাডা যাবেন যেভাবে
বর্তমানে জর্ডানের মোট রফতানিতে পোশাক শিল্পের অবদান ১৯ শতাংশ। খাতটি থেকে দেশটির আয় হয় বছরে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। ২০১৬ সালে দেশটির পোশাক রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ শতাংশ। বর্তমানে দেশটিতে রফতানি মুখী পোশাক কারখানার সংখ্যা ৮১টি। এর মধ্যে ৩৫টি সরাসরি ও ৩০টি ঠিকা (সাব-কন্ট্রাক্ট) পদ্ধতিতে পরিচালিত। এছাড়া বাকি ১৬টি স্যাটেলাইট ইউনিট।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post