কলকাতা হাইকোর্টের এক ঐতিহাসিক রায়ে ২০১৬ সালে নিয়োগ হওয়া ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) এ রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত হওয়া কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শাব্বর রশিদির নেতৃত্বে গড়া ডিভিশন বেঞ্চ।
সম্পূর্ণ জালজালিয়াতির মাধ্যমে ২০১৬ সালে রাজ্য সরকার ঘুষের বিনিময়ে ও প্রার্থীদের উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট জাল করে চারটি স্তরে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের নিয়োগ দেয়।
অভিযোগ আছে, মেধাতালিকায় উত্তীর্ণদের বঞ্চিত করে চাকরি দেওয়া হয় ঘুষের বিনিময়ে। লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে এই চাকরি বিক্রি করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শিক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তা ও তৃণমূলের নেতারা।
এরপর সিবিআইয়ের অভিযানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবীর বাসভবন থেকে উদ্ধার হয় ৫০ কোটি রুপি। এখন পার্থসহ শিক্ষা দপ্তরের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও তৃণমূলের নেতা কারাগারে। এই নিয়োগ দুর্নীতির মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।
এই নিয়ে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হলে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে একটি ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করেন। সব নিয়োগ মামলাকে একত্র করে বিচার করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সাড়ে তিন মাস ওই ডিভিশন বেঞ্চ এ মামলার শুনানি শেষে আজ ২৭১ পাতার এক নির্দেশে জানিয়ে দেন, জালিয়াতি করে চাকরি পাওয়া ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি অবৈধ।
রায়ে শুধু এক শিক্ষকের চাকরি বহাল রাখা হয়েছে। তার নাম সোমা দাস। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
Discussion about this post