দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে ডিসেম্বর মাস থেকেই করোনা ভ্যাকসিন বিতরণ শুরু করতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান। করোনা ভ্যাকসিন দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে বহু সংস্থার সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন প্রবীণ কর্মকর্তা।
সেইসাথে ভ্যাকসিনগুলির অতিরিক্ত ডোজ সংগ্রহের জন্য অন্যান্য সংস্থার সাথেও আলোচনা চলছে, যা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা ও জাতীয় পরিকল্পনা অনুযায়ী সারাদেশে বিতরণ করা হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, “সম্প্রতি ওমান সরকার, ফাইজার এবং ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের (জিএভিআই) মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী প্রথম দিকে ওমানের ২০ শতাংশ মানুষ করোনা ভ্যাকসিন পাবে। আশা করা যাচ্ছে এই বছরের শেষের দিকে বা নতুন বছরের প্রথম দিকে নিয়মিতভাবে ভ্যাকসিন সংগ্রহের কাজ চলবে।”
আরো পড়ুনঃ আগামী সপ্তাহ থেকে ভ্যাকসিন বিতরণ শুরু করবে আমেরিকা
তিনি আরও বলেন, “ভ্যাকসিনের জন্য যোগাযোগ চালিয়ে যাওয়া সংস্থাগুলো ভ্যাকসিন অনুমোদন পাওয়ার পরই তা ওমানের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ওমানের সকল এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরণের লোককে ভ্যাকসিন প্রদান কা হবে।
যা ইতিমধ্যে একটি জাতীয় পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। একটি ভ্যাকসিন অনুসন্ধানে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী তিনি বলেন, বর্তমানে সাতটি সংস্থা তাদের ভ্যাকসিন পরীক্ষার তৃতীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এর মধ্যে অক্সফোর্ড / অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ক্যানসিনো বায়োলজিকস, স্পুটনিক ভি, সিনোফর্ম, ফাইজার এবং মোর্দানার ডোজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অক্সফোর্ড / অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার এবং মোদার্নার ভ্যাকসিনগুলির নির্মাতারা তাদের সুরক্ষা, গুণমান এবং দক্ষতার ভিত্তিতে তাদের সাফল্য ঘোষণা করেছেন।
যা ৭০ থেকে ৯৫ শতাংশ সুরক্ষিত। আশা করা হচ্ছে যে এই ভ্যাকসিনগুলি খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ), ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর মতো সংস্থাগুলি দ্বারা অনুমোদিত হবে। এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিন সরবরাহ শুরু হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরো পড়ুনঃ কাতার প্রবাসীদের জন্য দারুণ সুখবর
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী ছড়িয়ে যাওয়ার কারণে একটি ভ্যাকসিন সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ওমানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অন্য এক কর্মকর্তা। বর্তমানে ৩০০ টিরও বেশি সংস্থা ভ্যাকসিন তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ভ্যাকসিনের চাহিদা বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় পরিমাণে এটি সরবরাহ করতে ডাব্লিউএইচএও শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের সনাক্ত করেছে। যারা এই ভ্যাকসিনের সরবারহ নিশ্চিত করবেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধিত্বকারী ওমানের বিভিন্ন বিভাগের লোকদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার চিহ্নিত করা হবে। জাতীয় সেরোলজিক্যাল জরিপের চতুর্থ পর্যায়ের ফলাফল বিবেচনায় মহামারীটির বিস্তারকে আটকাতে এই বিভাগগুলির মোট সংখ্যার ৬০ শতাংশ পূরণে সকল প্রকার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ওমান।
আরো পড়ুনঃ বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি, প্রবাসীদের ক্ষোভ
এই কর্মকর্তা আরো বলেন, কারোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে জটিল রোগে ভুগছেন, সামনের সারির কর্মীরা, দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত রোগী, বয়স্কদের তালিকা অনুযায়ী ওমানে বর্তমানে প্রায় ৩.৩ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিনের প্রয়োজন। ভ্যাকসিনের ব্যয়ের বিষয়ে তিনি জানান, সম্ভবত ডোজ প্রতি ১০ থেকে ৪০ ডলারের এর মধ্যে হতে পারে। সুত্রঃ টাইমস অব ওমান
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
Discussion about this post