সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাজ্য এখন প্রবাসী আয়ের প্রধান উৎস। যদিও গত দুই বছরে মধ্যে সবচেয়ে বেশি কর্মী গেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এমন পরিবর্তনের কারণ সৌদি আরব থেকে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ প্রবাহ কমে যাওয়া। যথাসম্ভব বাজারভিত্তিক ডলারের মূল্য করার পরামর্শ তাদের। পাশাপাশি উচ্চ-প্রণোদনা পেতে পাচারকৃত অর্থ রেমিট্যান্স আকারে দেশে ফিরে তা আবার পাচার হয়ে যাচ্ছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখতে বলছেন তারা।
একটি শ্রেণীর গত কয়েক বছর ধরে আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে দুবাই। দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমগুলোতে দেশটিতে বাংলাদেশিদের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান খোলার খবর আসছে। যদিও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনে দেশ থেকে অর্থ নিয়ে দুবাইয়ে ব্যবসা গড়ার রেকর্ড নেই। এমনই বাস্তবতায় ৮ মাস ধরে রেমিট্যান্সের শীর্ষ উৎস সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাজ্য।
পরিসংখ্যান বলছে, গত অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল সৌদি আরব থেকে যার পরিমান ছিল ৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল যুক্তরাষ্ট্র থেকে যার পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার।
কিন্তু চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে যার পরিমাণ ২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এসেছে যুক্তরাজ্য থেকে যার পরিমাণ ১ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব নেমে গেছে ৩য় ও ৪র্থ স্থানে।
রেমিট্যান্স বাড়াতে সরকার ও ব্যাংক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে। উচ্চ-প্রণোদনা পেতে পাচারকৃত অর্থ রেমিট্যান্স আকারে দেশে ফিরে তা আবার পাচার হয়ে যাচ্ছে কিনা সেইটি খতিয়ে দেখার পরামর্শ অর্থনীতিবিদের।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post