চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে দেশে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।
প্রবাসী আয়ে তাদের পরে রয়েছে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালির অবস্থান। আর ওমানের অবস্থান নবম। এমনকি সৌদি, যুক্তরাষ্ট্রের মত ওমান থেকেও বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয় আসা কমেছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে ওমান থেকে এসেছিলো প্রায় ৮৯.৭৪ কোটি ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা আরও কমে দাঁড়ায় ৭৯.০৬ কোটি ডলারে। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে এসেছে মাত্র ৬০.৩০ কোটি ডলার।
গত দুই অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে ইউএই তৃতীয় ও যুক্তরাজ্য চতুর্থ অবস্থানে ছিল। আর প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল যথাক্রমে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে চলতি অর্থবছরে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছে ইউএই ও যুক্তরাজ্য।
ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয় আসা কমেছে। তার বিপরীতে ইউএই ও যুক্তরাজ্য থেকে প্রবাসী আয় আসা বেড়েছে। এ কারণে দেশভিত্তিক প্রবাসী আয়ে এমন পরিবর্তন দেখা গেছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বর্তমানে দেশের ধনী গোষ্ঠী, উদ্যোক্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অন্যতম পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহর দুবাই। দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের ব্যবসাও বাড়ছে। এ কারণে বিশ্লেষকদের কেউ কেউ ধারণা করছেন, দেশ থেকে দুবাইয়ের পাচার হওয়া অর্থের একটি অংশ হয়তো পাচারকারীরা ফেরত আনছেন প্রণোদনার সুবিধা নিতে।
প্রণোদনার সুবিধা নেওয়ার পর সেই অর্থ হয়তো আবারও অবৈধ পথে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে বৈধ পথে ইউএই থেকে প্রবাসী আয় আসা হঠাৎ করে বেড়ে গেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post