পাইলটের সহায়তা ও উপস্থিত বুদ্ধির জন্য মাঝ-আকাশে এক শিশুর জন্ম হয়েছে। মাঝ-আকাশে বিমান থাকা অবস্থায় প্রসব বেদনা ওঠে শিশুটির মায়ের।
সোমবার (৪ মার্চ) সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিয়েত জেটের একটি বিমান নিয়ে তাইওয়ানের তাইপাই থেকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে যাচ্ছিলেন বিমানের পাইলট জাকারিন সারারানসকুল। তখন কেবিন ক্রুরা তাকে জানায় বিমানের মধ্যে এক নারীর প্রসব বেদনা উঠেছে। পরে এই নারীকে সন্তান জন্মদানের জন্য দ্রুত বিমানের টয়লেটে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই নারীকে নিয়ে বিমানের পাইলট তার নিজের ইন্সাগ্রামে জানিয়েছেন, “আমার ১৮ বছরের পাইলট ক্যারিয়া। আজকে আমি এক নারীকে তার সন্তান জন্মদানের সাহায্য করেতে পেরেছি। এমন একটি ঘটনার সাক্ষী হতে পেরে আমি অনেক খুশি।” পাইলট শিশুটিকে নিয়ে ধরে রাখা অবস্থার একটি ছবিও প্রকাশ করেছে। পাইলট আরও জানিয়েছে যে, বিমানের ক্রুরা নবজাতকটির নাম রেখেছে ‘স্কাই বেবি’।
২০২২ সালে ইন্টারন্যাশনাল একটি সংস্থা এক প্রতিবেদনে বলেছিল, ১৯২৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক বিমানের ফ্লাইটের মধ্যে ৭৪টি শিশুর জন্ম হয়েছে। তবে বিমানের জন্ম নেওয়া শিশুগুলো মধ্যে মাত্র তিনটি শিশু বেঁচে ছিল।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত অনুযায়ী জানানো হয়, নারীরা গর্ভাবস্থায় আকাশে নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারেন। গর্ভবতী নারীরা বিমানে উঠার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।
জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থাটি আরও বলেন, সাধারণত ৩৭ সপ্তাহ প্রসব বেদনা ওঠে থাকে, তবে জমজ সন্তান হলে সে ক্ষেত্রে ৩২ সপ্তাহ পর প্রসব বেদনা ওঠতে পারে। কিছু বিমান সংস্থা এই সময়ের পর নারীদের বিমানে উঠতে দেয় না।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post