পেশাগত কারণে বিদেশে প্রবাসী স্বামী উত্তম কুমার রায়। আদরের মেয়ের বিরিয়ানি খাওয়ার আবদার পূরণ করতে গিয়েছিলেন রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডের ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁয়।
কিন্তু তার আগেই বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজের আগুনে দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছে প্রবাসীর স্ত্রী ফিলোপিনো নারী রুবি রায় ও মেয়ে প্রিয়াংকা রায়। পোল্যান্ডে বসেই খবরটি পেয়েছিলেন প্রবাসী স্বামী উত্তম কুমার রায়।
এদিকে উত্তম রায়ের ভাই বিশ্নু রায় জানান, খবর পেয়ে আজ শনিবার উত্তম কুমার রায় পোল্যান্ড থেকে দেশে এসেছেন। এখন স্ত্রী ও মেয়ের মরদেহ নিয়ে মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের বানেশ্বরপুর গ্রামে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তম কুমার রায়ের স্ত্রী-মেয়ে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় খাবার আনতে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়ে নিহত হন।
এদিকে বিশ্নু রায় আরো জানান, তাঁর ছোট ভাই উত্তম কুমার রায় ১৯৯৬ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় হুন্দাই কোম্পানিতে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখানে ফিলিপাইনের নাগরিক রুবি রায়কে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে তিনি ওই কোম্পানির চাকরিসূত্রে পোল্যান্ডে যান। এ সময় স্ত্রী-মেয়েকে দেশে রেখে যান। তাঁরা ঢাকার মালিবাগে থাকতেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
Discussion about this post