ঢাকার রাস্তায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে ‘স্মার্ট চোখ’ নামক অভিনব উদ্যোগ চালু করা হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংবলিত ক্যামেরা ব্যবহার করে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, যা যানবাহন ও পথচারীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করবে এবং আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মামলা দিতে পারবে। এমন এআই সিগন্যাল সিস্টেম বসানো হয়েছে গুলশান-২ সিগন্যালে যা রাজধানীর আরও ৬টি পয়েন্টে বসানো হবে বলে জানিয়েছে উত্তর সিটি করপোরেশন।
ঢাকায় গাড়ি চালকদের আইন ভাঙার প্রবণতা, যত্রযত্র পার্কিং, লেন মেনে গাড়ি না চালানো, জেব্রা ক্রসিংয়ের ওপর দাঁড়িয়ে চলাচলা বাঁধা সৃষ্টির মতো কাজে রাস্তায় চলাচল এখন এক বিভীষিকায় পরিণত হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিমাসে শুধু গুলশান সিগন্যালে ট্রাফিক আইন ভাঙছে ৩ লাখ যানবাহন। বেশিরভাগ গাড়িই আসে না নির্দিস্ট লেনে। এতো বিপুল সংখ্যক গাড়িকে নিয়ন্ত্রণ করতে যথেষ্ট লোকবলও নেই ট্রাফিক বিভাগের। তবে এবার এআই ক্যামেরা বসানোর ফলে অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ।
দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ জানান, লালবাতি জ্বলা অবস্থায় সাদা দাগ স্পর্শ করলেই সয়ংক্রিয়ভাবে হবে মামলা। গাড়ির লাইসেন্স ও মেয়াদ না থাকলেও ধরা পড়বে ক্যামেরায়। এতে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সিইও মীর খায়রুল আলম বলেন, এখনই এই মামলায় জরিমানা লাগছে না। ট্রাফিক আইন ভঙ্গের তথ্য পেলেও এখনই শাস্তি দিতে পারছে না সিটি করপোরেশন। কারণ শাস্তি দেওয়া পুলিশের কাজ আর সে উদ্দেশ্যে পুলিশের ডেল্টা-৩ সিস্টেমের সঙ্গে এই সিস্টেমের সমন্বয়ের কাজ চলছে। সমন্বয়ের কাজ হয়ে গেলে শাস্তি চালু করা সম্ভব হবে। ধীরে ধীরে সারা ঢাকা জুড়ে এই সিস্টেম চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
Discussion about this post