ওমানে ব্যাংকিং স্ক্যামের মাধ্যমে গ্রাহককে ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৪ প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে রয়্যাল ওমান পুলিশ। মঙ্গলবার পুলিশের দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, গ্রেপ্তার হওয়া ৪ ব্যক্তিই এশীয় নাগরিক। তারা ব্যাংক কর্মকর্তা পরিচয়ে গ্রাহকদের কাছে ফোন দিয়ে অ্যাকাউন্টের আবশ্যিক সুরক্ষা এবং তথ্য আপডেটের নাম করে অর্থ লোপাট করতেন।
ওমানে ছড়িয়ে পড়া ইলেক্ট্রনিক জালিয়াতির মধ্যে এই ধরনটিও জালের মত ছড়িয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যে বহু মানুষ ভয়াবহ এই প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন। না ভেবেচিন্তে তথ্য দিয়ে প্রবাসীরা খুইয়েছেন লাখ লাখ টাকা। সাইবার অপরাধীদের নিশানা মূলত বয়স্ক, অসচেতন ব্যাংক গ্রাহকের দিকে। পুলিশ বলেছে, ব্যাংকের কোনো তথ্য ফোনে না জানানোর জন্য প্রচার করা হলেও এক শ্রেণির মানুষ প্রায়ই ভুল করে ফেলছেন।
সাধারণত ব্যাংকের বড় কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বলা হয়, অ্যাকাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনে কিছু তথ্য দরকার। এভাবে নেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ‘কাস্টমার আইডি’ এবং পরে ওটিপি হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র। তাদের গোছানো কথায় বিভ্রান্ত হয়ে ভুক্তভোগীরাও ওটিপি বলে দেন। ওমানে গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকজন নাগরিক ও প্রবাসী এভাবেই প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতারকেরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে জাল বিছায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আগে থেকেই জমা করা ব্যক্তির কিছু তথ্য শোনালে গ্রাহকও বিশ্বাস করে ঠকে যান। তবে এসব ক্ষেত্রে মোবাইলে আসা ওটিপি বা অন্য কোনো গোপন তথ্য শেয়ার না করার পরামর্শ দেন তারা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post