ফ্লাইট ডাইভারশনের প্রয়োজন হলে এখন থেকে তা দেশেই সেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার সচিবালয়ে অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের নির্বাহী কমিটির সঙ্গে আলাপকালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান এ কথা জানিয়েছেন।
ঘন কুয়াশার মধ্যে কদিন আগেই বাংলাদেশের বেশ কিছু ফ্লাইটকে ঘুরিয়ে ভারতে অবতরণ করতে হয়েছিল। বৈরী আবহাওয়া ছাড়াও বিমানবন্দর বন্ধ থাকা কিংবা জরুরি চিকিৎসাজনিত কারণে গন্তব্যের বাইরে গিয়ে ফ্লাইট অবতরণকে ‘ডাইভারশন’ বলা হয়ে থাকে।
ফারুক খান বলেন, শীতকালে প্রায়ই কুয়াশার কারণে ফ্লাইট ডাইভারশন করতে হয়। এই ডাইভারশন যাতে করতে না হয় তার জন্য আইএলএস সিস্টেম আপগ্রেড করা হচ্ছে। এছাড়াও মন্ত্রণালয়কে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন যে, কোনো ফ্লাইট ডাইভারশনের প্রয়োজন হলেও তা যেন দেশের ভেতরেই করা হয়। এজন্য শীতকালের ওই সময়ে সিলেট এবং চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট ২৪ ঘণ্টা অপারেটিং থাকবে।
বিমান পরিবহনমন্ত্রী বলেন, দেশের সকল বিমানবন্দর আধুনিকায়ন করার কাজ চলমান। এ বছরই অক্টোবর মাসে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক থার্ড টার্মিনাল চালু হবে। নতুন রাডার স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে দেশের সমগ্র আকাশসীমা নজরদারির আওতায় আসায় আমাদের আকাশসীমা দিয়ে চলাচলকারী উড়োজাহাজ হতে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যটন ও অ্যাভিয়েশন শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে ভূমিকা রাখছে তা যাতে আরো বৃদ্ধি পায় সেজন্য কাজ তিনি কাজ করছেন বলে জানান।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post