বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) শ্রেণিকক্ষে পাঠদানকালে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সকল নবীদের পিতা হজরত ইবরাহিম (আঃ) এবং শাসক নমরুদ নিয়ে কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত ঘটনা বর্ণনা নিয়ে সৃষ্ট একটি বিতর্কে কোর্স থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষককে। উচ্চশিক্ষালয়টির এক নারী শিক্ষার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিগত প্রায় চার মাস আগে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানকালে শিক্ষকের একটি আলোচনাকে উদ্ধৃত করে অভিযোগ দিয়েছেন ওই শিক্ষার্থীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগকে ভিত্তিহীন এবং শিক্ষার্থীর অমনোযোগীতার অংশ দাবি করে প্রত্যাহার হওয়া শিক্ষককে স্বপদে ফেরানোর দাবি জানিয়েছেন।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে প্রত্যাহার হওয়া ওই শিক্ষকের নাম ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিক নোমান। তিনি উচ্চশিক্ষালয়টির শিক্ষার্থীদের বাংলা সাহিত্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পাঠদান করেন।
ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিকের বিষয়ে একটা ঘটনা আমি জেনেছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। সাধারণত তদন্ত চলাকালীন সময়ে দায়িত্ব রাখা হয় না; সেজন্য তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে— অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম, উপাচার্য, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি।
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানকালে অভিযোগ প্রদানকারী ওই শিক্ষার্থী অমনোযোগী থাকায় তাকে নাম ধরে ডেকে মনোযোগী হতে বলেন শিক্ষক ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিক। এর আগে তিনি পাঠদানকালে আলোচনার অংশ হিসেবে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম (আঃ) এবং শাসক নমরুদ নিয়ে কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত ঘটনা বর্ণনা করেন।
অভিযোগকারী ওই শিক্ষার্থী তখন ক্লাসে অমনোযোগীতার কারণে বুঝতে পারেনি এবং সে ধারণা করে, তাকে উদ্দেশ্য করেই এটি বলা হয়েছে। পরবর্তীতে ‘ওই শিক্ষার্থীকে উদ্দেশ্য করে ক্লাসে কোনো কিছু বলা হয়নি’ বলে তখনই তাকে বুঝিয়ে বলেন শিক্ষক। এছাড়াও বিষয়টি তাকে জানানো হয়েছে মুঠোফোনেও।
এরপর ওই শিক্ষার্থী নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ শেষে ভালো গ্রেড নিয়ে সম্পন্ন করে উক্ত কোর্স এবং এ ঘটনার সাড়ে ৪ মাস পর ওই শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিককে সরিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
অন্যদিকে এ ঘটনায় ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিকের ক্লাসের উপস্থিত থাকা অন্য শিক্ষার্থীরা অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ভুক্তভোগী শিক্ষককে ক্লাসে ফেরানোর দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য বরাবর শিক্ষককে ক্লাসে ফেরানোর স্মারকলিপি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিক নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ৩টি কোর্সে ক্লাস নিতেন। তাকে তিনটি কোর্স থেকেই প্রত্যাহার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষার্থীরা আমার আপনজন। আমি তাদের কেন আঘাত দিয়ে কথা বলবো? এ ছাত্রী কেন অভিযোগ দিয়েছে আমি আজ পর্যন্ত বুঝতে পারিনি। তবে এতে আমার কোনো ক্ষোভ নেই, কোনো কষ্ট নেই—ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিক, সদ্য সাবেক শিক্ষক, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে, সামার-২০২৩ সেমিস্টারের বাংলা (২০৫.৪১ কোর্স) ক্লাসে বিগত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিক নোমান স্যারের সেকশনে পাঠদান চলাকালীন আমরা সশরীরে উপস্থিত ছিলাম। উক্ত ক্লাসে স্যার কোর্স সম্পর্কিত হাদিস উল্লেখ করে বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন। সে সময় ক্লাসের একজন অমনোযোগী মেয়ের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য নাম ধরে ডাকেন। মেয়েটি তার অমনোযোগীর কারণে ভুল বুঝতে পারে। তখন এ ভুল বুঝাবুঝি দূর করতে ক্লাসে উপস্থিত সকলের সামনে বিষয়টি পরিষ্কার করেন ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিক। মেয়েটি বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে নিয়ে সেই কোর্স সম্পন্ন করে এবং ভালো গ্রেড পায় ।
‘আমাদের পুরো সেমিস্টার জুড়ে নোমান মল্লিক স্যার কখনোই কাউকে হেয় প্রতিপন্ন বা অপমান করেননি। স্যার ক্লাসের সকলের সাথে একজন আদর্শ শিক্ষকের ন্যায় আচরণ করেন। পুরো সেমিস্টার জুড়েই স্যার কোনো শিক্ষার্থীর সাথে বিন্দুমাত্র অন্যায়, অসুলভ আচরণ করেননি।’
স্মারকলিপিতে ওই শিক্ষকের ক্লাসে থাকা শিক্ষার্থীরা বলছে, উক্ত সেকশনের অন্য কোনো শিক্ষার্থীর মতামত ছাড়াই একজন শিক্ষার্থীর কথায় সারের বিরুদ্ধ আনীত সিদ্ধান্ত আমরা মানছি না। অনতিবিলম্বে ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিক স্যারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ বাতিল করে তার সম্মান ফিরিয়ে দেয়া হোক এবং স্যারকে অনতিবিলম্বে উনার কোর্সগুলোতে বহাল করা হোক। এছাড়া একই স্মারকলিপিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত জানানোর আহ্বান জানিয়েছে।
ঘটনার দিন শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকা এক শিক্ষার্থীর সাথে কথা হয় দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের। তিনি নাম অপ্রকাশিত রাখার অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, স্যার অনেক বয়স্ক মানুষ। সাধারণত তিনি ক্লাসে পড়ানোর সময় শিক্ষার্থীদের নাম উল্লেখ করে কোনো কিছু বলেন। সেদিন মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম (আঃ) একটা ঘটনা বলেছিলেন।
ঘটনা বলার মধ্যখানে মেয়েটি অমনোযোগী থাকায় স্যার ‘মা একটু ক্লাসে একটু মনোযোগ দাও’ বলে তাকে ডাক দেন। সে সময় মেয়েটি ভাবে হাদিসের শেষ অংশের বর্ণনা তার পরিহিত পশ্চিমা ধাঁচের পোশাককে (ওয়েস্টার্ন ড্রেস) ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে। মেয়েটি তখন মন খারাপ করায় স্যার তখনি বলেন, তাকে উদ্দেশ্য করে তিনি কিছু বলেননি—শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকা শিক্ষার্থী।
কুরআন-হাদিসে বর্ণিত ঘটনাটি উদ্ধৃত করে সেদিনের ঘটনা বর্ণনায় এ শিক্ষার্থী বলেন, ‘স্যার বলছিলেন, হজরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালামকে আগুনে পুড়িয়ে মারার জন্য নমরুদ একটি ১৮ মাইলের বিশাল অগ্নিকুণ্ড নির্মাণ করে। সেটি এত বড় ও ভয়াবহ উত্তপ্ত ছিল যে, কোনো মানুষের পক্ষে সেটার কাছাকাছি যাওয়া অসম্ভব। তাই হজরত ইব্রাহীম (আ.) কে সেখানে নিয়ে নিক্ষেপ করা সম্ভব হল না। অবশেষে একটি চরকা বানানো হল যার মাধ্যমে উনাকে ছুড়ে আগুনে নিক্ষেপ করা যায়। কিন্তু মহান আল্লাহ তা’আলার নির্দেশে রহমতের ফেরেশতারা চরকার একপাশে ভর করে থাকায় চরকা ঘুরানো যাচ্ছিল না।’
‘তখন শয়তান নমরুদকে কু-বুদ্ধি দিল। কিছু পতিতা (নগ্ন) মেয়ে এনে চরকার সামনে বসিয়ে দিতে, কারণ এ অবস্থায় ফেরেশতারা থাকতে পারবে না। তাই করা হল এবং ফেরেশতারা চলে গেল, হজরত ইব্রাহীম (আ.) কে আগুনে নিক্ষেপ করতে তারা সক্ষম হলেন।’
‘এ ঘটনা বলার মধ্যখানে মেয়েটি অমনোযোগী থাকায় স্যার ‘মা একটু ক্লাসে একটু মনোযোগ দাও’ বলে তাকে ডাক দেন। সে সময় মেয়েটি ভাবে হাদিসের শেষ অংশের বর্ণনা তার পরিহিত পশ্চিমা ধাঁচের পোশাককে (ওয়েস্টার্ন ড্রেস) ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে। মেয়েটি তখন মন খারাপ করায় স্যার তখনি বলেন, তাকে উদ্দেশ্য করে তিনি কিছু বলেননি।’
এ শিক্ষার্থী আরো জানান, সাধারণত কেউ ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে স্যার ফোন দিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে থাকে। মেয়েটি পরেরদিন ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে স্যার মেয়েটিকে ফোন দেয় এবং তাকে বুঝিয়ে বলে। পরে মেয়েটি ক্লাসে অংশগ্রহণ করে। পুরো সেমিস্টার ক্লাস করে। এরপর মিডটার্ম পরীক্ষা, ফাইনাল পরীক্ষা দেয় এবং ভালো গ্রেড পায় এই কোর্সে।
কিন্তু হঠাৎ সাড়ে ৪ মাস পর স্যারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় যে, সেদিন ঘটনাটি তাকে ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে। অথচ পুরো সেমিস্টারে আরো অনেক শিক্ষার্থী ওয়েস্টার্ন ড্রেস পড়েছে, কখনো স্যার কাউকে কিছু বলেনি। বরং স্যারের অমায়িক ব্যবহারের কারণে সবাই স্যারকে পছন্দ করে।
‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুধু একজন ছাত্রীর বক্তব্য নিয়ে স্যারকে প্রত্যাহার করলো। অথচ সেদিন আমরাসহ আরো অনেক শিক্ষার্থী ছিলাম তাদের কাউকে জিজ্ঞাসা পর্যন্ত করেনি। আমরা এটা মানিনা। স্যারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই—বলেন এ শিক্ষার্থী।
এর আগে প্রতিবাদে অংশ নেওয়া আরেকজন শিক্ষার্থী জানান, ওই মেয়ে প্রায়ই দেরি করে আসতো। যেহেতু দেরি করে আসতো এবং ক্লাসে অমনোযোগী ছিল। সেজন্য স্যার তার নাম মনে রেখেছেন। স্যার এমনিতে বিভিন্ন শিক্ষার্থীর নাম মনে রাখেন। যেমন আমার নামও মনে রেখেছেন। প্রায় সময় আমাদের কোনো বিষয়ে বলার জন্য বা কোনো বিষয়ে আকর্ষণের জন্য নাম ধরে ডাকে। স্যার পড়াতে বিভিন্ন কুরআন ও হাদিস থেকে প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করেন। যেহেতু স্যার অনেক বয়স্ক একজন মানুষ। স্যার হাদিস বলার সময় তার নাম ধরে ডাক দিয়ে হাদিস বলা শুরু করেনি। ঘটনার মাঝখানে সে অমনোযোগী থাকায় তখন তাকে ডাক দিয়েছে। ওয়েস্টার্ন ড্রেস পড়া আরো অনেক শিক্ষার্থী ছিল কাউকে স্যার কখনো কিছু বলেনি।
গতকাল সোমবার ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিকের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি জমা দিতে উচ্চশিক্ষালয়টির প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। তারা জানিয়েছেন, অনেক শিক্ষক দাড়ি নিয়ে, বোরখা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অথচ একটা মিথ্যা অভিযোগের সাথে সাথে ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন।
এদিকে অভিযোগের বিষয়বস্তু নিয়ে জানতে (গোপনীয়তা রক্ষার্থে তার নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না) যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে প্রত্যাহার করা শিক্ষক ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষার্থীরা আমার আপনজন। আমি তাদের কেন আঘাত দিয়ে কথা বলবো? এ ছাত্রী কেন অভিযোগ দিয়েছে আমি আজ পর্যন্ত বুঝতে পারিনি। হজরত ইবরাহীমের ঘটনা একটা ঐতিহাসিক ঘটনা। তবে এতে আমার কোনো ক্ষোভ নেই, কোনো কষ্ট নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, এরকম একটা ঘটনা আমি জেনেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী একটা কমিটি রয়েছে। তারা কাজ করছে। সাধারণত তদন্ত চলাকালীন সময়ে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তদন্ত কাজ চলছে।
ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিকের পক্ষে সরব সাবেক শিক্ষার্থীরা
এ ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ এবং নিজেদের অবস্থান জানিয়েছেন উচ্চশিক্ষালয়টির সাবেক শিক্ষার্থীরা। মিতা পোদ্দার নামে ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিকের সাবেক একজন শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘আমি স্যারের একজন প্রাক্তন ছাত্রী । আমি তাকে দীর্ঘদিন ধরে জানি। আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি স্যার অত্যন্ত একজন ভালো মনের মানুষ। তিনি এত ভালো মানুষ যে, কোন ছাত্রীর মনে তো দূরে থাকুক কোন পশুর মনেও আঘাত দেন না।’
‘আমার সারাজীবনে তার মতো ভালো মানুষ একটিও দেখিনি। ছাত্র-ছাত্রীর প্রতি তার আন্তরিকতা দেখে আমার মনে হয়েছে শিক্ষক যদি ছাত্র-ছাত্রীদের এত ভালোবাসেন, না জানি সৃষ্টিকর্তা আমাদের কত ভালোবাসেন। আমি একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী তবুও তার কুরআন-হাদিসের ব্যাখ্যা আমার কাছে কখনো খারাপ লাগেনি। তাই আমি চাই তাকে অবিলম্বে তার যোগ্য স্থানে ফিরিয়ে আনা হোক—লিখেছেন মিতা পোদ্দার।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post