গ্রাহকের সঞ্চয়ের ২০ কোটি টাকা নিয়ে দুবাই পালানোর প্রস্তুতিকালে ‘ডলফিন’ এনজিওর পরিচালক আবদুর রাজ্জাকসহ ছয়জনকে আটক করেছে র্যাব। এ সময় বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে নওগাঁ সার্কিট হাউসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিব ফেরদৌস।
আটকরা হলেন- নওগাঁ সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের নাছির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে ডলফিন এনজিওর পরিচালক আবদুর রাজ্জাক (৪৪), তার বোন শিল্পী বেগম (৩৫), স্ত্রী সুমি বেগম (৩০), এনজিওর সভাপতি পিয়ার আলী (৪২), ম্যানেজার আতোয়ার রহমান (৫৫) ও ক্যাশিয়ার রিপন (২০)।
র্যাব-৫ এর অধিনায়ক জানায়, নওগাঁ সদরের ফতেপুর বাজারে ২০১৩ সালে সমবায় থেকে নিবন্ধন নিয়ে ‘ডলফিন সেভিং অ্যান্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থা গড়ে তোলেন নাসির উদ্দিনের ছেলে আবদুর রাজ্জাক। যেখানে বিভিন্ন গ্রামের সহজ-সরল মানুষদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে স্থায়ী আমানত ও ক্ষুদ্র সঞ্চয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। গ্রাহকদের প্রতি লাখে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা মুনাফা দিতেন।
গত কয়েক মাস ধরে গ্রাহকদের মুনাফা না দিয়ে আজ দিব কাল দিব বলে তালবাহানা করতে থাকেন। হঠাৎ করেই গত ২০ জানুয়ারি এনজিওর সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেন আবদুর রাজ্জাক। এ সময় তিন শতাধিক গ্রাহকের ২০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় আবদুর রাজ্জাক।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৫ এর গোয়েন্দা দল তাদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করেন। তিনি আরও বলেন, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি আবদুর রাজ্জাক দুবাই পালিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। পরে গতকাল ভোরে নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার তারাবো বাসস্ট্যান্ড থেকে র্যাব-১১ এর সহযোগিতায় তাকে আটক করা হয়।
এরপর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আবদুুর রাজ্জাকের বোন, স্ত্রী, এনজিওর সভাপতি, ম্যানেজার এবং ক্যাশিয়ারকে আটক করা হয়। আটকদের নওগাঁ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post