ওমানে ভিসা বন্ধের পরেও বাংলাদেশ থেকে গত বছর বিভিন্ন দেশে গেছেন ১৩ লাখের বেশি কর্মী। দেশের ইতিহাসে এক বছরে যা সর্বোচ্চ। আগের বছরের তুলনায় বিদেশে কর্মসংস্থান বেড়েছে ১৩ শতাংশ। তবে প্রবাসী আয় বেড়েছে মাত্র ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ। তবে দেশের মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিলে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়নি। আবার পুরুষ কর্মী বাড়লেও আগের বছরের তুলনায় নারী কর্মী কমেছে ২৭ শতাংশ।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় অভিবাসন খাতের বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রামরু। রামরু বলছে, আগের বছরের তুলনায় বিদেশে দক্ষ কর্মী পাঠানো কিছুটা বেড়েছে। গত বছর দক্ষ কর্মী গেছেন প্রায় ২৫ শতাংশ। আগের বছরের মতো এবারও সবচেয়ে বেশি কর্মী গেছে সৌদি আরব। এরপর দ্বিতীয় অবস্থানে মালয়েশিয়া। তবে প্রতিবছর সৌদি আরব থেকে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এলেও গত বছর সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত বছর মালয়েশিয়া ও গ্রিসে বৈধকরণ কর্মসূচিতে বহু কর্মী নিবন্ধন করেছে, ওমানে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা প্রদান স্থগিত করা হয়েছে, বাহরাইনে বাংলাদেশি কর্মী নেওয়া বন্ধ করেছে। এ ছাড়া অভিবাসী আইনে দালালদের সাব-এজেন্ট হিসেবে স্বীকৃতির বিষয়টি গত বছরের একটি ইতিবাচক ঘটনা।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার তাসনিম সিদ্দিকী। প্রবাসী আয় কমার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ব্যাংকের প্রতি আস্থা কমে গেছে প্রবাসীদের। তাঁদের অনেকেই গ্রামে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠান বলে তা প্রবাসী আয়ে হিসাব আসে না। আবার অনেকেই কাজ না পেয়ে ফিরে আসছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post