ওমানের শ্রম আইন নিয়ে ধারণা না থাকায় অপরাধ না করেও ভোগান্তি পোহাচ্ছেন বহু প্রবাসী। নিয়োগকর্তার অহেতুক হয়রানিতে দিশেহারা তারা। বিশেষ করে ভিসা দেয়া নিয়োগকর্তা থেকে পালিয়ে অন্য যায়গায় কাজ করার অভিযোগ এনে মন্ত্রণালয়ে মামলা করে প্রবাসীদের হয়রানি করার ঘটনা আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে।
সাধারণত এক নিয়োগ কর্তার ভিসায় ওমান এসে অন্য নিয়োগকর্তার কাজ করার বিষয়টি ওমানের শ্রম আইনের লঙ্ঘন। এক্ষেত্রে প্রবাসী কর্মীর পাসপোর্ট বা রেসিডেন্স কার্ড ছাড়াই নিয়োগকর্তা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। এই সুযোগের অপব্যবহার করে মূলত নিয়োগকর্তারা শ্রমিকদেরকে একভাবে জিম্মি করে রাখেন।
তবে এই আইনেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রবাসীদের ছাড় দেয়া হয়েছে। যেমন কোনো প্রবাসী যদি বৈধভাবে ছুটিতে থাকেন অথবা কোনো যৌক্তিক কারণে অনুপস্থিত থাকেন তাহলে নিয়োগকর্তা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবেন না।
এছাড়া প্রবাসী শ্রমিক চাইলে নিয়োগকর্তার কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র নিয়ে অন্য কোথাও কাজ করতে পারবেন, এক্ষেত্রেও নিয়োগকর্তা চাইলে আর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন না। কোনো প্রবাসী যদি কাজ থেকে অব্যাহতি না নিয়ে ওমান ছেড়ে চলে যান সেক্ষত্রেও নিয়োগকর্তা অভিযোগ করার অধিকার হারাবেন।
সাধারণত ঠুনকো অজুহাতে প্রবাসীকে শায়েস্তা করতেই আইনগুলো নিয়ে প্রবাসীর অজ্ঞতা ও দুর্বলতার সুযোগ নেন তারা। অথচ নিয়োগকর্তার মতো প্রবাসী শ্রমিকরাও এই আইনে সমান সুরক্ষার আশ্রয় নিতে পারবেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post