চলতি বছরের জুনের মধ্যে ডলারের বিপরীতে টাকার আরও ৪ শতাংশ দরপতন হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ঋণমান নির্ণয়কারী সংস্থা মুডিস ইনভেস্টরস সার্ভিস। বেসরকারি ঋণমান নির্ণয়কারী সংস্থাটি জানায়, চলতি বছর ডলারের দর ১১০ থেকে বেড়ে, জুন নাগাদ ১১৫ টাকা হতে পারে।
মুডিস, বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যস্থতায় ঘোষিত ডলারের দর ধরে, এই হিসাব দিয়েছে। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে ক্রলিং পেগ চালু হলে, তা ডলার বাজার স্থিতিশীল করতে সহায়ক হবে বলে মনে করে সংস্থাটি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্থতায় ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বাফেদা, আমদানিতে ডলারের দর ঠিক করে দেয় ১১০ টাকা। যদিও এখন আমদানিকারকদের ১২১ থেকে ১২৩ টাকায় ডলার কিনতে হচ্ছে। আবার রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ডলারের দর ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারিত থাকলেও অনেক ব্যাংক রেমিট্যান্স কিনছে ১২২ টাকা পর্যন্ত দরে।
এর আগে গত বছর প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ১৬ শতাংশ। আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি, বৈধপথে প্রবাসীদের আয় কমে যাওয়ায় জোগানের তুলনায় চাহিদা বেড়েছে মার্কিন মুদ্রার। এই পালে হাওয়া দিয়েছে বিনা বাধায় অর্থপাচার। এতেই টাকার মান কমছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
তবে টাকা শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. হাবিবুর রহমান। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিষ্পত্তিতে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও জোগানের ফারাকে বাড়ছে ডলারের দাম। ফলে নিয়মিতভাবে মান হারাচ্ছে টাকা। দীর্ঘদিন কৃত্রিমভাবে ৮৫ থেকে ৮৬ টাকায় ইউএস মুদ্রার দর ধরে রেখেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
বর্তমানে পণ্য আমদানিতে গ্রাহকদের প্রতি ডলার কিনতে হচ্ছে ১১০ টাকা ২৫ পয়সায়। গেল বছর যা ছিল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা। অর্থাৎ বছর ব্যবধানে ডলারের বিপরীতে টাকার মান হারায় ১৬ শতাংশ। আর গত দুই বছরে তা ৩০ শতাংশ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post