কাতার এএফসি এশিয়ান কাপে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের তারকা ফুটবলারদের পায়ের অসাধারণ নৈপুণ্য ফুটবলপ্রেমীদের মুগ্ধ করে তুলছে। প্রতিটি ম্যাচেই দেখা যাচ্ছে অসাধারণ ড্রিবলিং, লম্বা পাস, শট, এবং গোল। এই কাপের প্রতিটি ম্যাচই যেন একটি শিল্পকর্ম। এবার আসরে অংশগ্রহণকারী ২৪ দলকে চারটি করে ৬ গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে গ্রুপ-ই পর্বে আল জানৌব স্টেডিয়াম পার্কে দক্ষিণ কোরিয়া বনাম মালয়েশিয়া দলের খেলা চলাকালীন সময়ে প্রায় অর্ধশত বাংলাদেশি মালয়েশিয়ার পতাকা তাদের শরীরে মুড়িয়ে গ্যালারিতে বসে উল্লাস করতে দেখা গেছে।
গ্যালারিতে বাংলাদেশি দর্শকদের উল্লাস উদ্দীপনা আর মালয়েশিয়ায় ধ্বনিতে মুখরিত ছিল স্টেডিয়াম। আর এমন দৃশ্য ক্যামেরায় বন্দি করতে ভুলেননি মালয়েশিয়ান নাগরিকরা। পরবর্তীতে দৃশ্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা হলে মুহূর্তেই মালয়েশিয়াজুড়ে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
বাংলাদেশিদের মালয়েশিয়ান ফুটবল দলের প্রতি এমন ভালোবাসা দেখে দেশটিতে প্রশংসায় ভাসছে বাংলাদেশিরা। এছাড়া মালয়েশিয়ার বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের টাইমলাইনে ঘুরপাক খাচ্ছে ওই চিত্র।
২০২৩ এশিয়ান কাপের ‘ই’ গ্রুপের ফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ৩-৩ গোলে ড্র করে নিজেদের ইতিহাস গড়েছে মালায় টাইগাররা। দেশে হোক আর দেশের বাহিরের মাঠে বসেই হোক-ফুটবল নিয়ে পাগলামিতে বাংলাদেশিরাই সেরা বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন।
এএফসি এশিয়ান কাপের আসরে প্রাইজ মানি হিসেবে ২০১৯ সালের মতো এবারের আসরেও থাকছে মোটা অঙ্কের প্রাইজমানি। পুরো টুর্নামেন্টের জন্য ১৪.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের প্রাইজমানি। টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৫ মিলিয়ন ডলার ও রানার্সআপ দলের পকেটে যাবে ৩ মিলিয়ন ডলার। সেমিফাইনালের পরাজিত দল পাবে ১ মিলিয়ন ডলার এবং টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ২৪টি দলের জন্য থাকবে ২ লাখ ডলার।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post