অযোধ্যায় কবে থেকে শুরু হবে মসজিদ তৈরির কাজ, তা জানিয়ে দিল ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন। সংগঠনের এক প্রবীণ আধিকারিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মে মাস থেকে শুরু হবে মসজিদ তৈরির কাজ। কী ভাবে অনুদান সংগ্রহ করা হবে, সেই বিষয়টিও জানিয়েছেন তিনি।
নির্মাণকাজ শেষ হতে তিন থেকে চার বছর সময় লাগবে। ঘটনাচক্রে, সোমবার অযোধ্যার মন্দিরে রামলালালার বিগ্রহের ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’। সে দিনই প্রকাশ্যে এল এই খবর।
মসজিদের প্রকল্পটির তত্ত্বাবধানে রয়েছে ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন (আইআইসিএফ)। সেই সংগঠনের প্রধান হাজি আরফত শেখ মসজিদ নির্মাণ নিয়ে তথ্য দিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, মসজিদ নির্মাণের অনুদান সংগ্রহের জন্য শীঘ্রই একটি ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ ওয়েবসাইট চালু করা হবে। ধর্মগুরু মহম্মদের নাম অনুসারে মসজিদের নাম হবে ‘মসজিদ মহম্মদ বিন আবদুল্লা’।
শেখ বলেন, ‘‘মানুষের মধ্যে বৈরিতা, ঘৃণাকে ভালবাসায় পরিণত করাই আমাদের প্রচেষ্টা। সে আপনি সুপ্রিম কোর্টের রায় মানুন বা না মানুন। এই সব লড়াই থেমে যাবে, যদি আমাদের সন্তানদের সুশিক্ষা দিই।’’
২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়ে জানিয়েছিল, অযোধ্যার ওই জমিতে মন্দির হবে। মসজিদের জন্য পৃথক জমি দিতে হবে। সেই নির্দেশ মেনে অযোধ্যার উপকণ্ঠে ধন্যিপুরে তৈরি হওয়ার কথা মসজিদ।
আইআইসিএফের প্রেসিডেন্ট জুফর আহমেদ ফারুকি জানিয়েছেন, অনুদানের জন্য সংগঠনটি কারও কাছে যায়নি। সংগঠনের সম্পাদক আথার হুসেন জানিয়েছেন, মসজিদ নির্মাণে দেরি হচ্ছে কারণ নকশায় আরও কিছু সাবেকি রীতির ছোঁয়া আনতে চাইছেন তাঁরা। মসজিদ চত্বরে ৫০০ শয্যার একটি হাসাপাতালও তৈরি হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post