সমুদ্রের ঢেউয়ের তালে ধাতুর চেয়ারটি ভেসে আসতে দেখে প্রথমে লোকটি ঘাবড়ে যান। কিন্তু কাছে গিয়ে দেখতে পেল, বিষয়টা বাস্তবে ততটা নয়। কোনো মানুষ এটিতে বসে সমুদ্র পাড়ি দিতে পারে না। সমুদ্র তো কত কিছুই ভাসিয়ে আনে। ঢেউয়ের তালে তালে তা এসে ঠেকে বালুরপ্রান্তে। আর সমুদ্রের ধারের বালির তট মানেই তো সেখানে পর্যটকের ভিড়। সমুদ্রে গোসল করা তো আছেই, এছাড়া নিছক সমুদ্রের ধারে বেড়ানোর, সময় কাটানোর জন্যও অনেকে হাজির হন সেখানে।
এভাবেই এক ব্যক্তি সেদিন হাজির হয়েছিলেন সমুদ্রের ধারের সোনালি বালুরপ্রান্তে। অবসর কাটানোর ফাঁকে তাঁর নজরে আসে একটি জিনিস। রীতিমত হতবাক হয়ে যান তা দেখে। সমুদ্রের ঢেউ ভাসিয়ে এনেছে ৪টি চেয়ার। জং ধরা চেয়ারগুলি ধাতুর। একে অপরের সঙ্গে একসঙ্গে আটকানো। ওই ব্যক্তি সেটি দেখার পর প্রাথমিক হতভম্ব ভাব কাটিয়ে বোঝার চেষ্টা করেন ওটা সমুদ্রে থেকে ভেসে এল কেন।
আর তা ভাবতে গিয়ে তাঁর মনে হয় নিশ্চয়ই কোনও বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। কারণ তাঁর চেয়ারগুলি দেখে বিমানে যাত্রীদের বসার চেয়ারের মত মনে হয়। এদিকে এমন চেয়ার ভেসে এসেছে, সে খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ এসে চেয়ারগুলি পরীক্ষার পর জানতে পারে যে নিউ জার্সির ওই সমুদ্রসৈকতের কাছে এক জায়গায় একটি কৃত্রিম রীফ তৈরির কাজ চলছে। সেখানে রেলকার দরকার পড়ে। তারই চেয়ার এগুলি।
কোনওভাবে তা পানিতে পড়ে গিয়েছিল। তারপর তা ঢেউয়ের তালে ভেসে এসে ঠেকে এই সমুদ্রসৈকতে। নিউ জার্সির বিচের এই ঘটনা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও খবরটি প্রকাশিত হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post