ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। রোববার (৩ ডিসেম্বর) গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের মহাপরিচালক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকায় এখন ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন।
সাতদিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি শেষে গত শুক্রবার থেকে আবারও গাজায় নির্বিচারে বর্বর বিমান হামলা চালানো শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। এখন তারা গাজার দক্ষিণাঞ্চলে অনবরত বোমা ফেলছে।
যুদ্ধের শুরুতে উত্তরাঞ্চলে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলিরা। ওই সময় সাধারণ মানুষকে দক্ষিণাঞ্চলে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তারা বলেছিল, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে চলে গেলে নিরাপদ থাকা যাবে। তবে এখন এই দক্ষিণাঞ্চলেই হামলা চালানো শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে সাধারণ মানুষের ব্যাপক প্রাণহানি হচ্ছে।
গাজায় সাধারণ ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যেসব বোমা ব্যবাহার করছে সেগুলো তাদের সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল ও ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ইউএস সি-১৭ সামরিক কার্গো বিমান দিয়ে ইসরায়েলে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার বোমা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমা। এছাড়া দখলদার ইসরায়েলিদের ১৫৫ মিলিমিটারের ৫৭ হাজার শেল দিয়েছে মার্কিনিরা।
ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল আরও জানিয়েছে, গাজায় দখলদার ইসরায়েলি সেনারা সবচেয়ে ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী যেসব হামলা চালিয়েছে সেগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বোমা।
বর্তমানে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে ইসরায়েল। খান ইউনিসের বাসিন্দারা জানান, প্রায় দুই মাস আগে যুদ্ধ শুরুর পর গতকাল শনিবার এখানে সবচেয়ে বেশি বোমা ফেলেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post