চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যার দায়ে এক প্রবাসী যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। রোববার দুপুরে চাঁদপুরের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শাহেদুল করিম এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মজিবুর রহমান ভূঁইয়া জানান।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. আল মামুন মোহন (৩২) লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার শায়েস্তানগর গ্রামের বাসিন্দা। রায়ে একইসঙ্গে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় মামুন আদালতে হাজির ছিলেন।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর মামুনের সঙ্গে ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া এলাকার প্রবাসী মো. সেলিম খানের মেয়ে তানজিনা আক্তার রিতুর (২০) বিয়ে হয়। মামুনের নিজের ঘর না থাকায় বিয়ের পর থেকে রিতু বাবার বাড়িতেই থাকতেন। এরই মধ্যে মামুন বিদেশে চলে যান। সেখানে কাজ না পেয়ে দেড় বছর পর দেশে ফিরে আসেন। নানা কারণে মামুনের সঙ্গে রিতুর দূরত্ব তৈরি হয়।
মামলায় আরও বলা হয়, ২০২০ সালের ১৩ মে সন্ধ্যায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া এলাকায় একটি তিনতলা ভবনের নীচতলায় স্ত্রী রিতু ও শাশুড়ি পারভীন বেগমকে (৪৫) ছুরিকাঘাত করেন মামুন। ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
এদিকে, ছুরিকাঘাতে আহত রিতু ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং তার মা পারভীন বেগম ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় রিতুর চাচা মো. লিয়াকত খান মামুনকে আসামি করে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করেন তৎকালীন সময়ের ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ শহীদ হোসেন। তদন্ত শেষে তিনি ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী হিসেবে আরো ছিলেন দেবাশীষ কর মধু ও জসিমউদদীন। অপরদিকে, আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সেলিম আকবর ও সফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post