গাজায় ইসরাইলের চলমান হামলার প্রতিবাদে ভারতের কিছু মুসলিম দোকানদার ইসরাইলি পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন। মঙ্গলবার কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের জনগণের সমর্থনে ভারতের কিছু মুসলিম দোকানদার ইসরাইলি এবং মার্কিন পণ্য মজুদ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, তাদের এই সিদ্ধান্ত স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি আন্দোলন শুরু করেছে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ নাদিম নামে এক ভারতীয় দোকানদার বলেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে সরাসরি লড়ার করার ক্ষমতা আমাদের নেই, তবে তাদের পণ্য বয়কট করে ফিলিস্তিনে তাদের কার্যক্রমকে আমরা বিরোধীতা করছি। আরেক দোকানদার বলেন, কোকাকোলা ও পেপসির মতো ইসরাইলি পণ্য আমরা এখন আর আমাদের দোকানে রাখছি না।
এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলার ৩৮তম দিনে প্রবেশ করার সাথে সাথে কমপক্ষে ১১ হাজার ১৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৭ হাজার ৭০০টিরও বেশি শিশু এবং নারী। আহত হয়েছে ২৮ হাজার ২০০ জনেরও বেশি । গত মাস থেকে অবরুদ্ধ ছিটমহলে ইসরাইলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলায় হাসপাতাল, মসজিদ এবং গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
ইসরাইলি সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ইতোমধ্যে ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে। উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post