কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ঝর্ণা আক্তার (১৫) নামক এক কিশোরীকে নিজ ঘরে অজ্ঞাত দুর্বত্তরা নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। শনিবার সন্ধ্যায় নাঙ্গলকোট পৌর সদরের কেন্দ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঝর্ণা আক্তার নাঙ্গলকোট পৌর সভার কেন্দ্রা গ্রামের আবদুল জলিলের মেয়ে। সে স্থানীয় গোত্রশাল উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাঙ্গলকোট পৌর সদরের কেন্দ্রা গ্রামের আবদুল জলিলের কিশোরী মেয়ে ঝর্ণা আক্তারের সাথে দেড় মাস আগে তার ফুফাতো ভাই উপজেলার জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের জোড্ডা গ্রামের নুর মিয়ার ছেলে দুবাই প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের মোবাইল ফোনে বিয়ে হয়। শনিবার সন্ধ্যায় নিজ বসতঘরে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ঝর্ণা আক্তারের মাথায় উপর্যুপরি কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী ঝর্ণাকে উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা আবদুল জলিল পেশায় তিনি চা দোকানদার। নিহতের বাবা আবদুল জলিল বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারেন তার ঘরের ভেতর থেকে বিভিন্ন আওয়াজ আসছে। পরে তিনি ঘরে গিয়ে দেখেন ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। একপর্যায় জানালা দিয়ে দেখতে পায় তার মেয়ের নিথর দেহ খাটের নিচে পড়ে আছে। অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তার মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত আটক করে শাস্তির দাবি জানান।
এ দিকে এ ঘটনায় পুলিশ নিহত ঝর্ণার বড় ভাই শাহিনের স্ত্রী কলি আক্তারকে গ্রেফতার করেছে। নাঙ্গলকোট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, নিহতের পিতা আবদুল জলিল বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মন্তব্য: